আমজাদ হোসেন নওগাঁ || নওগাঁর মান্দায় আইওরপাড়া ইসলামী মাদ্রাসার জমি দখল করে সিমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে পাশ্ববর্তী আইওরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
সিমানা প্রাচীর দিয়ে মাদ্রাসার জমি দখল করে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রী রতন কুমার ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি । মাদ্রাসার জমি দখল করে সিমানা প্রাচির নির্মাণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ রবিবার় বিকাল ৪ ঘটিকায় আইরপাড়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মাঠে আ: খালেকের সভাপতিত্বে স্থানীয় এলাকাবাসী মাদ্রাসার সম্পত্তি দখল করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আইওরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে মাদ্রাসার জমিতে সিমানা প্রাচীর না করার জন্য অনুরোধ জানালে তারা উল্টো হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন। নিরুপায় হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে জমি পুনরুদ্ধারের আবেদন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ করেন মাদ্রাসার জমিদাতা পরিবারের সদস্য মো: রাসেল রানা।
রাসেল রানা সংবাদ প্রবাহকে জানান আমার দাদা আইওরপাড়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার স্থাপনার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য মোট ১০৭ শতক জমি দান করেন। সে জমি দখল করার অসৎ উদ্দেশ্যে সিমানা প্রাচীর দেওয়ার পায়তারা করছে আইওরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শী: রতন কুমার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইওরপাড়া মৌজার ১০৪ নং আরএস খতিয়ানের ৮৫ নং দাগে ৩৩ শতাংশ জমি আইওরপাড়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠাগার নির্রামাণের জন্য এবং শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য চোঁয়াপুর মৌজার আরএস ০৭ নং খতিয়ানের ১০ নং দাগে ৭৫ শতাংশ জমি মাদ্রাসা স্থাপনা ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য চোয়াঁপুর গ্রামের বাসিন্দা মো: আ: গফুর সরদার ও সিদ্দিক আহমেদ তৎকালীন সময়ে ২ দাগে মোট ১০৭ শতক শতক জমি দান করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার জমি দখল সিমানা প্রাচীর নির্মাণের পায়তারা করছে আইওরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী রতন কুমার। সিমানা প্রাচির নি়র্মাণ করা হলে ৫টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা মাদ্রাসার জমি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আইওরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী: রতন কুমার বলেন, জায়গাটি বিদ্যালয়ের গফুর মন্ডল জমি দান করেছে আমরা সেখানে প্রাচীর নির্মাণ করিছ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাসার শামসুজ্জামান বলেন, প্রাথামিক বিদ্যালয়ের জায়গা হলে সিমানা প্রাচির নির্মাণ করা হবে আর যদি মাদ্রাসার জায়গা হয় তাহলে সিমানা প্রচীর নির্মাণের প্রশ্নই আসে না। বিষয়টি আমলে নিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।