খুলনার খবর || কয়রার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাটমারচর গ্রামের নুর আহমাদ এর ছেলে আফছার হোসেনের আয়ের একমাত্র উৎস্য ছিলো একটি গরুর ফার্ম। ফার্মে চারটি গরু লালন-পালন করতেন তিনি। ফার্মে যে আয় হতো তাতেই চলতো তার সংসার। কিন্তু ফার্মের চারটি গরুই আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ায় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন পথে বসেছেন।
জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারী বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিট থেকে তার গরুর ফার্মে আগুন লেগে যায়। ঘটনা স্থলেই একটি গরুর মৃত্যু হয়। এবং আগুনে পুড়ে আরও তিনটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়। এর তিন দিন পর বাকী তিনটি গরু মারা যায়। এব্যাপারে জানতে চাইলে আফছার হোসেন বলেন, আমি ধার-দেনা করে একটি গরুর ফার্ম করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহী করে আসছিলাম। ইচ্ছা ছিলো কুরবানীর ঈদে গরু বিক্রি করে ধার-দেনা পরিশোধ
করবো। কিন্তু তা আর হলোনা। হঠাৎ আমার ফার্মে আগুন লেগে চারটি গরু আগুনে পুড়ে মারা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। তিনি আরও বলেন, সরকারী-বেসরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে আবারও ঘুরে দাড়াতে পারতাম। উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, কাঠমারচর গ্রামের আফছার হোসেনের গরুর ফার্মে তৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে চারটি গরু আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
বিষয়টি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখ জনক। খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ও কয়রা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের (অঃ দাঃ) ডাঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ফার্মের মালিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করতে পারেন। প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কোন বরাদ্ধ নাই।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।