জাহিদুল ইসলাম,কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি || খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫টি রাস্তার সংস্কার কজ স্থানীয় সরকার (এলজিইডির) অবহেলায় বন্ধ থাকায় দিন, দিন চলাচলের জনদুর্ভোগ চরমে উঠছে। ৫ ও ৬ নং কয়রা লঞ্চঘাট থেকে কয়রা শাকবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিমুখে সড়ক টির কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে।প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে খোয়া ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার।একি রাস্তার শাকবাড়িয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিয়াদের মোড় পর্যন্ত কাশির খালের পাশের রাস্তা ধ্বসে খালে পড়ছে গাইড ওয়েল ছাড়া রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।
রাস্তাটি সংস্কার কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে ৮১ লাখ ৯৪ হাজার, ৭২ টাকা। গ্রামীণ সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটির কাজ শুরু হলেও কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সংস্কার কাজ শেষ হয়নি। হাবিবুর রহমানের দোকান হইতে মাঝের আইট বিসি ভায়া নলপাড়া(০০-১৫০০মিঃ) রাস্তাটির ইট তুলে নতুন করে পিচের রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয় খোয়া ফেলে চলে গেছে ঠিকাদার প্রায় ৩ মাসের বেশি সময় পার হলেও কাজ বন্ধ রয়েছে জনদুর্ভোগ বাড়ছে কোমলমতি শিশুদের স্কুলে যাতয়াত খুবই দূর্ভোগ। রাস্তা নির্মাণ কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৬ টাকা।
ঠিকাদার হিসেবে কাজটি ন্যায় তৎকালীন সময়ের আওয়ামী লীগের এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু নিয়ে অন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজ শুরু করে তবে ঠিকাদার বালু ও খোয়া ফেলে চলে গেছে।
কয়রা মদিনাবাদ হাইস্কুল মোড় থেকে ৪ নং কয়রা লঞ্চঘাট অভিমুখের এলজিইডি ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার ২০২০সালের ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বার মাসের প্রথম দিকে রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার কাজ হাতে নেয় (এলজিইডি)খানা খন্দ সংস্কার করে ও নতুন কার্পেটিংকরার জন্য বরাদ্দ হয় ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে রাস্তাটিতে নতুন করে আবার খানা-খন্দ৷ তৈরী হচ্ছে একটু রৈদ্রের তাপ বেশি পড়লে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান জোরে চালালে রাস্তার বালু, রাভিষ উড়ছে অসাস্তকর পরিবেশ তৈরী হচ্ছে। রাস্তার পাশে বসবাস করা পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের বাড়ির ঘর, খাবার সব রাভিষ পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ছোটো বাচ্চারা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে।১ নং কয়রা মাঝের আইট গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ নাছির উদ্দীন শেখ বলেন, প্রায় তিন বছর পূর্বে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য খোয়া দিয়ে রেখে যায় ঠিকাদার এখনো পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি রাস্তা দিয়ে যানবাহন চালাতে কষ্ট হয় ধুলা বালি উড়ে চোখে মুখে যায় অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
একি এলাকার আব্দুল জব্বার বলেন বহুদিন ধরে আমাদের এলাকার রাস্তাটা খারাপ হয়ে পড়ে আছে চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমাদের ছোটো, ছোটো ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাঁরা ঠিক মতো এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেনা।
এসব রাস্তার বিষয় নিয়ে একাধিক বার উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী(এলজিইডি) দারুল হুদা ‘র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে চলে গেছে তার কাজ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে আবার ঠিকাদার দিয়ে কাজ করবো। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব রাস্তা নির্মাণ কাজের ও বরাদ্দ কৃত আর্থ কোথায় গিয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।