পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর || কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া, পাঁচপোতা, আলতাপোল, পাঁচারইসহ বিভিন্ন গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের গাছতলা পূজা ধর্মীয় গাছতলায় মঙ্গলবার (১১ মার্চ-২৫) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে অনেক রাত পর্যন্ত অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী বসুন্তিয়া গাছতলা পূজার্চনায় পূরোহীতের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত মিহির চক্রবর্তী বলেন, এই পূজায় হরি, কালী, শীতলা, মা-মনষা, ও মা-মঙ্গলা এই পাঁচ দেবির পূজা করা হয়। সার্বিক মঙ্গল কামনায় এই পূজা করা হয়।
বসুন্তিয়া পূজা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার প্রদীপ দেবনাথ জানান, বিভিন্ন গ্রামের শত শত নারী-পুরুষসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোক এখানে এই পূজা দেখতে আসেন।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিন্টু রায় বলেন, এই গাছতলা পূজার ঐতিহ্যের কারণে আগের চেয়ে ভক্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক ভক্ত এখানে মানদ করে মুক্তি পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ উত্তম রায় বলেন, প্রতিবারের মত এই পূজায় মানসিক হিসাবে ভক্তদের ৪জন জয় রায়, সিরিজা সিকদার, দীপ্র পাল ও রিয়ান খাঁ ওজন করে মিষ্টান্ন-ভোগ নিবেদন করেন।
সহ-সভাপতি অশোক পাল জানান, মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ায় বুকের রক্ত দান করেন টুম্পা রায় এবং ৫ জন মিষ্টান্ন-ভোগ ও টাকা পূজায় নিবেদন করেছেন।
পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার সরকার জানান, গত ৩ মার্চ-২৫ সোমবার সড়ক দূর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে লাইভসাপোর্টে থাকা ভক্ত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুকান্ত মল্লিকের জন্য সুস্থতা কামনা করা হয়।
গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তি সুভাষ রায় (৮০) জানান, আনুমানিক ৮০/৮২ বছরের উর্দ্ধে এখানে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই পূজা হয়ে আসছে। প্রথম আমলে এখানে পাঠা বলি হতো। হিন্দু-মুসলমান অনেক লোক মানসা করে সুফল পেয়েছেন।
সদস্য উজ্জ্বল পাল ও মলয় কুণ্ডু বলেন, এবার নাম সংকীর্তনে ছিলেন, এ আই টেকনিশিয়ান সুমন রায়, অরূন হালদার, গৌতম হালদার, বিশ্বনাথ হালদার, উত্তম পাল-সহ সঙ্গীরা। এই মন্দিরে মানষা করে মুক্তি পাওয়ায় প্রতি বছর ভক্তরা দান করেন। অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।