মোঃ রফিকুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি||রাত পোহালেই ঈদুল ফিৎরের ঈদ। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব খুশির ঈদ।এ যেন নব সাজে সেজেছে দেশবাসী।
বিগত প্রায় ১৭ বৎসর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা, বিরোধী দল সহ সাধারণ জনগণের ঈদ উৎসব সহ মৌলিক অধিকার হরণ ও পরাধীন করে রাখা হয়েছিল। এমনকি অনেক জায়গাই ঈদের জামাত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ রকম চাপা আতঙ্কগ্রস্ত পরিবেশে ঈদের কেনাকাটায় মার্কেট, শপিংমল গুলোতে মন্দাভাব বিরাজ করছিল দীর্ঘদিন।
গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে, নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ। আর নতুন এ দেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ডঃ ইউনুসের উদার মনের বহিঃপ্রকাশের অংশ হিসাবে এবার শীতে ইসলামী মাহফিল যেভাবে প্রায় প্রতিটা গ্রামে, গ্রামে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দিপনার সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঠিক সেভাবেই, নতুন দেশের প্রথম ঈদ উৎসব ব্যাপক, উৎসাহ, উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করতে যাচ্ছে, যেমন দেশের মুসলিম সমাজ। তেমনি ক্রেতা সাধারণের মাঝে কেনাকাটায় ফিরে এসেছে প্রানচাঞ্চল্য।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলার থানা সদরের ব্যবসাবান্ধব বড় বাজার নাভারন সহ বেনাপোল, বাগআচড়া বড়, বড় মার্কেট, শপিং মল গুলোতে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে এবং
প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের হাট বাজারগুলোতে একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।
নাভারন বাজারের কলেজের সামনে জিনাতউল্লাহ শপিং কমপ্লেক্সের ছিট কাপড় ব্যবসায়ী শৈলী ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী শহীদ বলেন, গত ৭ বছরের তুলনায় এবার ঈদের বেচাকেনা অনেক বেশি এবং গত কয়েক বছরের মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশাবাদ পোষণ করেন।
বিগত বছর গুলোতে যেখানে ঈদের জামাত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সে সব জায়গাতেও, এবার ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।স্ব স্ব এলাকার ঈদগা, মসজিদ, খোলা জায়গাতে প্যান্ডেল, গেট তৈরী ও দৃষ্টি নন্দন লাইটিং ও আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে, এলাকা ভীত্তিক যুব সমাজের উদ্যোগে।
নাভারনের দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের যুবক পিয়াস মাহমুদ ও সোহান বলেন, গত স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকাই, অনেক জনপ্রতিনিধি নেতা ও সাধারণ মানুষ ঈদের নামাজ পড়তে আসা থেকে বিরত ছিল। এবার সে রকম প্রতিবন্ধকতা না থাকাই, আশা করছি এবার ঈদের জামাতে ব্যাপক মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নাভারন বাজার কেন্দ্রীক বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে, গত কয়েক বছর ঈদের জামাত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
এখানে খতিবের দায়িত্ব পালনকারী মুফতি আব্দুস সামাদ কাসেমী বলেন, গত কয়েক বছর এখানে ঈদের জামাত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এখানে আবার নতুন করে পূনরায় ঈদের নামাজ আদায় করা হবে, এতে আমি ও বাজার কেন্দ্রীক মুসল্লীরা খুশী ও মহান আল্লাহর দরবারে শুক্রিয়া আদায় করেন এবং প্রচুর মুসল্লির আগমন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলার প্রায় সব ঈদগায় ও এর সংলগ্ন আশপাশের এলাকা জুড়ে রংবেরঙের ব্যানার, ফেষ্টুন, পতাকায় ছেয়ে গেছে। এ সব দৃষ্টি নন্দন পরিবেশ দেখে স্থানীয়রা বেজায় খুশি। খুশির ঈদ সবার জীবনে ফিরে আসুক বার, বার এ রকম পরিবেশে। এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সচেতন এলাকাবাসী ও সুধী সমাজ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।