ইমরুল ইসলাম ইমন, খুলনার খবর ||খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে ও আশপাশে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সকল প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধকল্পে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাস ফাঁকা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কুয়েট কর্তৃপক্ষ বলেছে, তদন্ত রিপোর্ট বাধাগ্রস্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া থেকে আড়াল এবং চলমান অচলাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করতেই আইন অমান্য করে একটি চক্র আজ ১৩ তারিখ হলে প্রবেশ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম প্রায় শেষ। আজ রবিবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানাগেছে ।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে ও চলমান অচলাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করতেই কিছু শিক্ষার্থী ও স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে কুয়েট প্রশাসন। এতে করে খুলনার প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আশংকা করছেন কুয়েট প্রশাসন।
কুয়েটের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের প্রতি ধৈর্য ধারণের জন্য বারংবার বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্ত কিছু শিক্ষার্থী ও একটি স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে।
এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অবতারণা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ও আবাসিক হল ভ্যাকান্ট করে সিলগালা করেন কুয়েট প্রশাসন। কুয়েট শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট দাবিসমূহও বাস্তবায়নে কুয়েট প্রশাসন কাজ করছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
কুয়েট কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দোষীদের শনাক্ত করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালের গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রমের কাজ প্রায় শেষ এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজ ১৩ এপ্রিল জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট প্রশাসন বলেছে, এমন কর্মকান্ড থেকে প্রমাণিত হয় যে, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকৃত অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত এবং চলমান অচলাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করতেই আইন অমান্য করে আজ ১৩ এপ্রিল হলে প্রবেশ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে কতিপয় উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা।
তারা এই অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকলে এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্থানীয়দের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায়, সকল শিক্ষার্থীকে এই ধরণের অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং কোনো প্রকার আইন বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত না হতে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অপরদিকে কুয়েট গেটে ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি মারধরের শিকার এক ভুক্তভোগীর আদালতে ২২ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
সোশ্যাল মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলেছে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
নগরীর খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, ‘স্যোশাল মিডিয়ায় কুয়েটকে উপ্তর করার একটি পরিকল্পনার বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে নজর রাখছি।
কেউ যাতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্যও পুলিশ রয়েছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।