মো:জাকির হোসেন ||১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও মীর শওকত আলী শহীদি খেতাব অর্জন করেছেন। গ্রাম কাশিয়ানী, জেলা- গোপালগঞ্জ, গেজেট নং ৯০৩। মীর শওকত আলীর পৈত্রিক বাড়ি ভারতবর্ষে ।১৯৭১সালের পূর্বে হিন্দু বাড়ি বিনিময় করে এদেশে কাশিয়ানীতে চলে আসেন এবং স্থানীয় মেয়ে নাসিমা বেগমকে বিবাহ করেন। নাসিমা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয় মীর শওকত আলীর সাথে। মীর শওকত আলীর পুত্র সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ এর জন্মতারিখ ২১ আগস্ট ১৯৭২ সালে। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ, যুদ্ধ শুরু হলে মীর শওকত আলী ও তার পিতা মুছা আলী ভারতবর্ষে চলে যায়। জানা যায়, ভারতে মীর শওকতের চাচাদের সাথে পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে বিবাদ হয়। তার চাচারা মীর মুছা আলী ও মীর শওকত আলী দুজনকে মেরে ফেলে।
১৯৭১ সালে এই মৃত্যুকে পুজি করে নকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র তৈরি করে তৎকালীন বিএনপি ক্ষমতায় ছাত্রনেতা থাকাকালীন ২০০৩ সালে সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ ২২তম বিসিএস ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি উপ-সচিব উপ-পরিচালক পাট অধিদপ্তর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত আছেন।
সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ খুবই চালাক চতুর ব্যক্তি। যিনি জাল-জালিয়াতি করে মৃত বাবাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ নিয়েছিল। পদ্মাসেতুর জন্য ভূমি অধিদগ্রহনের সময় মাদারীপুর ভূমিঅধিগ্রহন শাখায় দায়িত্বে (এলও) থাকা কালে ঘুষের বানিজ্য করে গড়ে তুলেছিল অবৈধ ভাবে সম্পদের পাহাড়। জড়িয়েছে বহু নারীকেলেঙ্কারী ও বিবাহের সঙ্গে । বিসিএস ক্যাডারের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ টাকার জোর খাটিয়ে পিতার , মাতার, ও নিজ নামে সড়ক ও গেট তৈরীসহ নানা অনিয়ম করেই চলেছেন।
একজন বিসিএস ক্যাডার অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানের এমন কর্মকান্ডের জন্য এলাকায় প্রকৃত মৃক্তিযোদ্ধার ভেতরে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। কেউ কিছু বললে যে কোন মামলায় জড়িয়ে দিবেন বলে ভয় ভীতিও দেখান।
সৈয়দ ফারুক আহাম্মদ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নামে সড়ক ও গেটের নামকরন পরিবর্তন এবং মুক্তিযোদ্ধার গেজেট থেকে নাম বাতিলের জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় সাবেক প্রধান মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিয়ষক মন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন মুজিবুর রহমান মোল্লা এবং এ বিষয়ে তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন যার মামলা নং ৬৯৭৩/২১ইং এবং গত ২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট মীর শওকত আলীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কল্যাণ ট্রাস্ট ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের কাছে পাঠান।কিন্তু ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখনো তদন্তের প্রতিবেদন আসেনি কি এর রহস্য গণমাধ্যম কর্মীরা এই বিষয়ে কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে কেউ তা সঠিক জবাব দিতে পারেনি পুনরায় ৯ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে বিষয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ জন্য পাঠান গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে, কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিবেদনে লেখা আছে নাসিমা বেগম ভাতা নিচ্ছেন কিন্তু ৫ নং কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে নাসিমা বেগম মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায় সৈয়দ ফারুক আহাম্মদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে ১৩/৩/২০২৪ ইং তারিখে মৃত মীর শওকত আলীর ভাতা নিজ নামে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন ।
সেখানেও আবেদন ফরমটি অসম্পূর্ণ লেখা। মীর শওকত আলীকে দেখানো হয়েছে পেশা শিক্ষক কিন্তু সে কোথায় শিক্ষকতা করেছে সে সার্টিফিকেটই কোথায় কানোই বা নেয়নি কল্যাণ ট্রাস্ট ফর্মটি কেন অসম্পূর্ণ ? মীর শওকত আলী শহীদ হয়েছে শহীদি সার্টিফিকেট মৃত্যু সনদ কবে মৃত্যুবরণ করলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কারো জানা নেই মীর শওকত আলীর স্ত্রী ১২/১০/১৯৯৭ ইং তারিখে ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন । উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাইলটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত করানো হয় এবং প্রতিবেদন মতে জানা যায় শহীদ মীর শওকত আলী ১৬/৯/১৯৭১ ইং সালে যশোর জেলার মহেশপুরে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। সৈয়দ ফারুক আহমেদের জন্ম ২১ আগস্ট ১৯৭২ ইং সালে কিন্তু তার পিতার মৃত্যু ১৬ ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ ইং সালে তার জন্ম এবং তার বাবার মৃত্যু সময়ের মধ্যে পার্থক্য ১১মাস ৫ দিন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাবার মৃত্যুর ১১ মাস ৫ দিন পরে কিভাবে তার জন্ম হয়। তাহলে কে তার প্রকৃত বাবা একাধিকবার তার অফিসে গণমাধ্যম কর্মীরা এই বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য অফিসে গেলে থেকেও সে না করে দেন অফিসে নেই ফোন করলে বলেন কি বিষয়ে কথা বলবেন যখন ওনার বাবার বিষয়ে কথা হন তখন ফোনটি কেটে দেন এবং নাম্বার ব্লক করে দেন একাধিকবার যাওয়ার পরে ভাগ্যক্রমে উনার সাথে দেখা মিলেন উনার বাবার বিষয়ে কথা বলে উনি কোন বিষয়ে উত্তর দেবেন না বলে জানিয়ে দেন এতেও প্রমাণিত হয়ে যায় ঘটনাটি সত্য ২০২১ সালে একাধিক দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় শহীদ ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল এই বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুই বলবেন না বলে এড়িয়ে যান ১৬ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে মোঃ মাসুম পারভেজ গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিকট দরখাস্ত দেন,বিষয় মীর শওকত আলীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল ও রাষ্ট্রীয় অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে।
বিষয়টি আমলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আগামী ৮ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১১ ঘটিকার সময় শুনানিতে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রেরণ করেন ,মীর শওকত আলীর মিথ্যা সনদ দেওয়ার সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত রাষ্ট্রের টাকা ফেরত আনতে হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।