1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের ‘শ্রমিক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ পাইকগাছা নাছিরপুর জলমহাল : দখল-পাল্টা দখলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা খুলনা মহানগর জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারি সম্মেলন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ অপু ভিসি’র পদত্যাগের দাবি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ’ ৩১ দফায় জনগণের সমর্থন, আস্থা অর্জনের দায়িত্ব আমার-আপনার-সকলের খালিশপুরে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল এবং পেশাজীবীর দুই শতাধিক নেতা-কর্মী এনসিপিতে যোগদান ২০২৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত খুলনার রূপসায় ১১ রুটের বাস চলাচল ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য ব্যতিক্রম আয়োজনে প্রশংসিত বকুল -তুহিন খুলনার আদালত ৯৮ হাজার মামলার বোঝায় ভারী চৌদ্দগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক যশোরে হাজী বিরানী খেয়ে একই পরিবারের তিনজন সহ পাঁচজন অসুস্থ কালিগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ দুই সহোদর আটক সালিশের নামে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট যশোরে বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার দিঘলিয়ায় ছোট ভাইয়ের ধারালো রামদায়ের কোপে সাবেক সেনা সদস্য রক্তাক্ত জখম শিরোমণি কেডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ী ৪ দিন ধরে নিখোঁজ

খুলনার আদালত ৯৮ হাজার মামলার বোঝায় ভারী

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন খুলনার খবর ||মামলার বোঝায় ভারী হয়ে উঠেছে খুলনার আদালত। খুলনার বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ৯৮ হাজার। বাদী, বিবাদী, কৌঁসুলিসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফৌজদারি মামলায় অনেক প্রতিবেদন দেরিতে আসা, আসামিপক্ষের বারবার সময়ের আবেদন, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ, সাক্ষীদের সঠিক সময়ে হাজির করতে না পারাসহ নানান কারণে নিষ্পত্তি হচ্ছে না এসব মামলার।

অপরদিকে দেওয়ানি মামলায় সমন জারি ও গ্রহণে বিলম্ব, বারবার সময় চেয়ে আবেদন, ভূমি পরিমাপে কমিশন নিয়োগে দেরি, আর্জি সংশোধন, বারবার আপত্তি দিয়ে সময়ক্ষেপণের কারণে ঝুলে থাকছে মামলাগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা দায়রা আদালত, মহানগর দায়রা আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালসহ খুলনার বিভিন্ন আদালতে প্রায় ৯৮ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যার মধ্যে জেলা জজ আদালতে সিভিল মামলা ৫১ হাজার ৬৬টি ও ক্রিমিনাল মামলা ৪ হাজার ২৮২টি, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রায় ১৩ হাজার মামলা এবং বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে প্রায় ১৫ হাজার মামলাসহ বিভিন্ন আদালতে প্রায় ১৪ হাজার মামলা চলমান রয়েছে।
আইনজীবীরা বলছেন, বাদী-বিবাদী সব পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতাই পারে মামলার জট কমাতে। সাক্ষী হাজির নিয়ে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এক্ষেত্রে বিচারকাজে বিলম্ব হলে মামলাজট তৈরি হয়।
দেওয়ানি মামলার বিচারপ্রার্থী আব্দুল হালিম জানান, প্রায় তিন বছর যাবত দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে। অনেক সময় আদালতে নির্ধারিত তারিখে এসে শুনতে হয়েছে কোর্ট উঠবে না। আবার অনেক সময় অন্য পক্ষ হাজির হন না। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় অর্থ ও সময় নষ্ট হচ্ছে।
ফৌজদারি মামলায় বিচার প্রার্থী সুজন হোসেন জানান, পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে অভিযোগ গঠন হতেই দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে সময় নিয়ে এখন নিজের কাছেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডুমুরিয়া থেকে আসা বিচারপ্রার্থী রবিউল হক বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে মামলা দায়ের করেছি প্রায় সাত বছর আগে। তারিখের পর তারিখ পড়েছে। মামলা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। তবে সাত বছরে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যাতায়াতে খরচ অনেক গেছে। এখন সঠিক রায় পেলেই সন্তুষ্ট আমি।
আইনজীবী মুরাদ হোসেন বলেন, বিচারপ্রার্থীরা সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় বিজ্ঞ আদালতে আসেন। ক্রিমিনাল মামলায় অনেক জটিলতা থাকে। পুলিশি তদন্ত থাকে। সাক্ষীর বিষয় থাকে। পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের জন্য অনেক কালক্ষেপণ হয়। কিন্তু রিপোর্টের পর মামলা ট্রায়ালে গেলে সাক্ষীর হাজির হওয়া নিয়ে অনেক সময় বেগ পেতে হয়। এজন্য কার্যতালিকায় প্রতিদিন মামলার সংখ্যা বাড়ছে।
আইনজীবী মো. মিলন বলেন, অপ্রয়োজনীয় মামলা, সঠিক সময়ে সাক্ষীদের উপস্থিত না হওয়া, মামলা হাইকোর্টে পেন্ডিং থাকা, বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের অদক্ষতার কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সূত্রিতায় বিচারপ্রার্থীরা প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, অপ্রয়োজনীয় মামলার কারণে আদালতে মামলার চাপ বাড়ে। যার কারণে বিচারকাজেও অনেক সময় কাল বিলম্ব হয়। অনেকে না বুঝেই এক আদালতের মামলা অন্য আদালতে দায়ের করেন। যার জন্য জটিলতাও তৈরি হয়। সূত্র: জাগোনিউজ
তিনি আরও বলেন, সিভিল মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি। কিন্তু ক্রিমিনাল মামলা নিষ্পত্তির হার কম। কারণ ক্রিমিনাল মামলায় কোর্টে সাক্ষী সময়মতো আসেন না, আবার অনেক সময় সাক্ষী রিকল দিয়েও পাওয়া যায় না।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব শেখ নুরুল হাসান রুবা বলেন, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য পুরাতন বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন, বিনা কারণে কোনো মামলা মূলতবির ক্ষেত্রেও আইনের সংস্কার প্রয়োজন।

এছাড়াও সুপারভিশনের অভাবে অনেক মামলা দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন থাকে। একটা মামলা বিচার বিভাগের অধীনে প্রসেস হতে অনেক সময় লাগে। বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দক্ষতার অভাবে এই সময় দীর্ঘায়িত হয়।

তিনি আরও বলেন, আইনি জটিলতা দূর করলে এবং সকলের আন্তরিকতা থাকলে সাধারণ বিচার প্রার্থীরা উপকৃত হবেন এবং তাদের অর্থ ও সময় দুইই বাঁচবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।