ইমরুল ইসলাম ইমন,খুলনার খবর ||রঙিন সামিয়ানা, সামিয়ার নিচে চেয়ার, রয়েছে খাবার পানি ও পর্যাপ্ত স্যালাইনের ব্যবস্থা। এ চিত্র চলমান এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রের পাশেই। শুধু তাই নয়, রয়েছে পরীক্ষার্থীদের বই, খাতা, মোবাইল আর ব্যাগ নিরাপদে রাখার জন্য কাজ ব্যস্ত সময় পার করেছেন একঝাঁক তরুণ-তরুণী।
খুলনা মহানগরীর হাজার হাজার এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এমন ব্যতিক্রম আয়োজনের উদ্যোক্তা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের।
যার সঙ্গে স্বতস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন ছাত্রদলের কর্মীরা। ব্যতিক্রমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকরা। অভিভাবকরা বলছেন, এটি একেবারে নতুন উদ্যোগ,এই উদ্যোগ হতে পারে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। অভিভাবকদের অধিকাংশই নারী হওয়ায় তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় গরমে দাড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টের। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা বই, খাতা, মোবাইল নিয়ে বিপাকে পড়েন প্রতিনিয়ত।
জানাগেছে, পরীক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থীরা নানা সেবা পাচ্ছেন। পরীক্ষার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় উপকরণ কলম, এছাড়া সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন দেয়া হয়। পরীক্ষার্থী জন্য সহায়তা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র গচ্ছিত রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার রুটিনপত্র প্রদান করা হয় এখান থেকে।
খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসা পরীক্ষার্থীর অভিভাবক শরীফা বেগম বলেন, বিএনপির ব্যনারে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। প্রচন্ড গরমে সামিয়ানা খাটিয়ে বসার চেয়ার দেয়ায় আমরা উপকৃত হয়েছি।
অতীতে এমন উদ্যোগ কেউ গ্রহন করেনি। তিনি মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এদিকে খালিশপুর বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত অভিভাবক গোলাম নবী বলেন, রকিবুল ইসলাম বকুলের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার।
তিনি বলেন অভিভাবক টেন্ট ও পরীক্ষার্থীদের সহায়তা কেন্দ্রগুলো অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিলটন জানিয়েছেন, খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯ হাজার ২৯১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ২৩ কেন্দ্রে ৭ হাজর ৯শ জন শিক্ষার্থী। দাখিল পরীক্ষার্থী দুইটি কেন্দ্রে ৭১৯ জন আর কারিগরি ভকেশনালে চারটি কেন্দ্রে ৬শ ৩২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। এসএসসির ২ কেন্দ্রে, দাখিলের দুটি কেন্দ্রে এবং অন্যান্য ৪টি কেন্দ্রে এধরণের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। খুলনার ছাত্রদলের ৩০০ এর বেশি নেতাকর্মী এই সহায়তা কেন্দ্রে পরীক্ষার দিন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আমরা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু করতে পারিনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোতে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকান্ডের কারণে ছাত্রদল তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষ বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। আমরা মুক্ত পরিবেশে রাজনীতি করতে পারছি। আমরা সাধ্যমত শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।