1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা : অন্তবর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে আ’লীগের ঝটিকা মিছিল : তীব্র নিন্দা, গভীর উদ্বেগ জামায়াতের পাওনার টাকা দিতে বাসায় ডেকে ব্ল্যাকমেইল, ২নারী আটক কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি, কলম ও স্যালাইন বিতরণ প্রশংসায় ভাসছেন সাংবাদিক মিজান মোল্লাহাটের  রাজপাটে   চিংড়ি ঘেরে কাদা ফেলতে বাধা দেওয়ায় আহত- ১  কেডিএ’র সম্পত্তি লীজ গ্রহণকারী ব্যক্তিকে হুমকি, জমিতে উন্নয়নমূলক কাজে বাঁধা : থানায় জিডি কয়রায় রহিমিয়া জামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানার শুভ উদ্বোধন লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যার মামলায় ১৬জন আওয়ামী লীগের নেতা আটক লোহাগড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে অন্ত:সত্বা মহিলাসহ ৪ জন আহত খুলনায় তীব্র গরমে জমে উঠেছে মাঠার ব্যাবসা যশোরে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক খুলনা ফজলুল উলুম মাদ্রাসার বাৎসরিক মাহফিল কাল, অতিথি শায়েখ চরমোনাই খুলনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় মো. আ. আজিজ নামের এক যুবক গুরুতর জখম সরকারি চাল বিভিন্ন নামের বস্তায় প্যাকেটিং করে বিক্রি কেসিসির লাইসেন্স অফিসার রবি গ্রেপ্তার অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, পুলিশ ৩ মামলায় গ্রেফতার ৩৯ ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় উপেক্ষা করে রূপসা ঘাট দখলের চেষ্টা: বিতর্কে জেলা পরিষদের সিইও সেলিম রেজা

আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা : অন্তবর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ০ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন,খুলনার খবর||খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ‘র ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের ১৭ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আন্দোলনরত ৩২ শিক্ষার্থী ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে,দাবি পূরণে অন্তবর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তারা।

এদিকে ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে তৎপর রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তর। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা ও করে যাচ্ছেন তারা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে অংশ নেয়। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই দিন বেলা দুইটার পর থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনের সড়কে জড়ো হতে থাকে। এরপর বেলা তিনটায় সেখান জড়ো হওয়া দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দার পূর্ব দিকে অবস্থান নেয়। এরপর সেখানে বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে আমরণ অনশন শুরু করে। বাকি শিক্ষার্থীরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শিক্ষক গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আমরণ কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার প্রাণপন চেষ্টা চালায়। সকালে তারা আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। বেলা আড়াইটায় ছাত্র কল্যান পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। এরপর বেলা তিনটার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনা টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়ে একাধিক শিক্ষক বক্তৃতা করেন।
এ সময় শিক্ষকরা তাদেরকে জুস পান করার অনুরোধ জানিয়ে অনশন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। এভাবে টানা আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষার্থীদের নমনীয় করতে না পেরে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালকসহ শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে যান। এবং যাওয়ার সময় তারা বলে যান আমরা আবারও তোমাদের কাছে আসবো
আলোচনার সুযোগ সব সময় রয়েছে।

এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীরা ভিসি’র পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনড় থাকে। তাদের সাফ কথা আমাদের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা অনশন থেকে সরবো না। প্রয়োজন হলে আমাদের এখানে মৃত্যু হবে।

অনশনরত সিই বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রাহাতুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, “আমাদের এক দফা, এক দাবি, ভিসি’র পদত্যাগ। আমাদের দাবি যেদিন মেনে নেওয়া হবে, সেদিন আমাদের অনশন শেষ হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইন্টেরিম দিকে তাকিয়ে আছি, ইনট্রিম কখন আমাদের দিকে তাকাবে? আমাদের কুয়েটে গত দুই মাস ধরে যতটুকু আন্দোলন হয়েছে, শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা রেল ব্লকেট করছি? না রাস্তা ব্লকেট করছি? এমনকি আমরা যখন প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে গেছি তখন পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্যই কি ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না? ইন্টেরিম কাছে আমাদের প্রশ্ন?

তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে শিক্ষকরা আমাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। উনারা যখন আসছে তার আগে আমাদের দামানোর জন্য আমাদের প্রতি মামলা করা হয়েছে, এমনকি আমাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পরে আবার নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমাদেরকে দমানো যায়। শুধু এই তদন্ত কমিটি নয়, আজকে আবার শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল যাতে আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য বসতে না পারি। এত হামলা, এত বহিষ্কারের পরে ছাত্ররা আর তাদের দাবি থেকে ফেরত যেতে চাই না। আমরা শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো এই কারণে যে তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছেন”।

আইইএম বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উপল বলেন, “আন্দোলন তো শুরু হয়েছে দুই মাস ধরে। ৬ দফার যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করছিলাম কিন্তু সেটা মানা হয় নাই। এরপর আমরা ভিসিকে বর্জন করি। আমরা ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের স্মারকলিপি দিয়ে আসি। এ কারণে যে ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাবে। কিন্তু দুই মাস হয়ে গেল ইন্টেরিম আমাদের দিকে তাকাই নাই। তিনি বলেন, এই সরকার জুলাইয়ের রক্তের উপর দিয়ে, ছাত্রদের রক্তের উপর দিয়ে আসলো। অথচ এই সরকার ছাত্রদের দিকে তাকালো না। যেখানে আমাদের একটা ন্যায্য দাবি। আমরা হামলার শিকার হয়েছি, মামলা খাইছি, আমরা কোপ খাইছি, গুলি খাইছি, আমরা আহত হইছি,আমরা চাইছি ওই বিষয়গুলো আমাদের বিচার করে দেন, এটাই ছিল আমাদের ন্যায্য দাবি

কিন্তু সেটা মানা হয়নি। এরপর আমাদের আন্দোলনরত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো এরপর হলে খুলে দিয়ে আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাইলাম কারণ আমাদের ক্লাসে ফিরতে হবে, তখন আমাদের নামে মামলা দেওয়া হলো। আমাদের ২৪ ঘন্টা খোলা আকাশের নিচে রাখা হলো। আমাদের আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে বহিষ্কার করা হলো।

এরপর আলাদা একটা তদন্ত কমিটি করা হলো, যাতে কেউ আন্দোলন করতে না আসে। আন্দোলনকারীদের ভয় দেখানো হলো, বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হলো।

এই সবকিছুর পর আমরা এক দফায় এসেছি”।

শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব সম্পর্কে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ তৌফিক আহমেদ বলেন, “আলোচনার সময় এখন আর নেই।

আমরা স্যারদের সঙ্গে বসার অনেক চেষ্টা করেছি,আমরা বলেছি সমঝোতার সুযোগ আছে, হলগুলো খুলে দিন। তাহলে হয়তো তখন সমঝোতা হয়ে যেত। আর যে পাঁচটা দাবি অন্তত এই পাঁচটা দাবি যদি মানতো। আজকে তারা আমাদের সাথে বসছেন এই বসাটা আরও আগে বসলে সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু এখন যখন আমরা হার্ড লাইনে চলে এসেছি এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, যতদিন আমাদের এই দাবি আদায় না হবে, তাতে আমাদের যত ক্ষতি হয়ে যাক আমরা এখানে আমারণ অনশন করব”।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।