এস এম তাজুল হাসান সাদ,স্টাফ রিপোর্টার ||সাতক্ষীরায় দৈনিক কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাজ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি। মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, আজকের (বুধবার) মধ্যেই সাংবাদিক টিপুকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—চ্যানেল আই-এর আবুল কালাম আজাদ, সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খা, দেশ টিভি ও বিএসএস-এর আসাদুজ্জামান, ইনডিপেনডেন্ট টিভি ও বাংলাদেশ বেতারের আবুল কাশেম, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজিব, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসাইন, মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, এবং মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, এমনকি তার সামনে কোনো ঘটনাও ঘটেনি। এরপরও তিনি আইন লঙ্ঘন করে সাংবাদিক টিপুকে সাজা দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ন্যায়বিচার পরিপন্থী। বক্তারা সাংবাদিক টিপুর নিঃশর্ত মুক্তি, দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ইউএনও ও সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ২২ এপ্রিল, যখন সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপু তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় উপ-সহকারী প্রকৌশলী এম. এম. মামুন আলম তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান, যার ফলে দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং পরবর্তীতে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
প্রকৌশলী মামুন আলম জানান, তিনি কাজ তদারকির সময় সাংবাদিক টিপু তাকে উদ্দেশ্য করে হঠাৎ ঘুষি মারেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত শ্রমিকদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং সাংবাদিক টিপুকে ১৭৬ ধারায় ১০ দিনের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
অন্যদিকে, সাংবাদিক টিপুর দাবি, তিনি যখন দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করতে ঘটনাস্থলে যান, তখন প্রকৌশলী মামুন আলম তাকে সহযোগিতা না করে উল্টো তাঁর হাতে থাকা ছাতা দিয়ে মারধর করেন। আত্মরক্ষায় তিনি প্রতিরোধ করলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল জানান, তার এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ পেয়ে তিনি গিয়ে তদন্ত করেন এবং স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই রায় প্রদান করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।