জাহিদুল ইসলাম, কয়রা(খুলনা) প্রতিনিধি||খুলনার দাকোপের মোজামনগরের বাসিন্দা মফিজুল সানা (৩০), যিনি বিয়ের সূত্রে পাইকগাছার গড়ুইখালির ফকিরাবাদে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন, গত ১৮ই এপ্রিল সহকর্মী মিজান (৪০) ও রুহুল কুদ্দুসের (৩৫) সাথে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অবশেষে ২৪শে এপ্রিল, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়রা থানার পশ্চিম হড্ডা বোতলখালী খালের মোহনায় শিবশাহ নদীতে তার অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২শে এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাছ ধরা শেষে ফেরার পথে কয়রা থানার হড্ডা নদীর মুখের কাছে ফরেস্ট অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অফিসের লোকজনকে দেখে মফিজুল ও তার সঙ্গীরা দ্রুত নৌকা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
আতঙ্কিত হয়ে তিনজনই নদীতে ঝাঁপ দেন। মিজান ও রুহুল সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মফিজুল স্রোতের টানে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজের পর তার সঙ্গীরা পরিবারকে খবর দিলে মফিজুলের স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। দীর্ঘ দুদিন পর অবশেষে আজ তার নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া গেল।
স্থানীয় সূত্রে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মফিজুলের শ্বশুর মোঃ মোস্তাক গাজী (৬০) আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা থানাকে না জানিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেন।
ঠিক কোন স্থান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে, কেন মফিজুল ও তার সঙ্গীরা ফরেস্ট অফিসের লোকজনকে দেখে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে কেন বিষয়টি আইন পর্যন্ত গড়ালো না, তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে, একজন তরতাজা যুবকের এমন মর্মান্তিক পরিণতি এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে গিয়ে দাফন সম্পন্ন করার ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বা বন বিভাগের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।