অতনু চৌধুরী(রাজু)বাগেরহাট প্রতিনিধি||মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ রেজি নং-২১৪৩ শাব্দিক অর্থে মোংলা বন্দরের শ্রমিক মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি স্টিভেডর নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত সংগঠন। এই শ্রমিকগণ স্টিভেডরদের নিয়ন্ত্রণে বন্দরে আগত সকল বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই এর কাজ করে থাকে।
মোংলা বন্দরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্টিভেডরগণ এ সকল শ্রমিকদের নিয়োগ, পরিচালনা ও সকল পাওনাদি পরিশোধ করে থাকেন। মোংলা বন্দর কোন শ্রমিক নিয়োগ/পরিচালনা করে না। মোংলা বন্দরের শ্রমিক নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি মূলতঃ স্টিভেডর শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।
মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর। প্রতিবছর প্রায় এক হাজারের মতো বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে আগমন করে থাকে।
বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য খালাস-বোঝাই এর মাধ্যমে হাজার হাজার শ্রমিকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, ইপিজেডসহ আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের আমদানি-রপ্তানির ধারাবাহিকতা ও উত্তরোত্তর উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এই সমুদ্র বন্দর বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। শ্রমিকদের এ ধরনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দেশে ও বিদেশে মোংলা বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, এ ধরনের সৃষ্ট সমস্যার ফলে যদি মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন কমে যায় তাহলে বন্দরের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে সপরিবারে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হবে।
সে সাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হবে। দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বন্দরের ভাবমূর্তি সম্পর্কিত বিধায় বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
একই সাথে দেশ ও জাতির কল্যাণের স্বার্থে মোংলা বন্দরকে যুক্ত করে এ ধরনের অন্তকোন্দল পরিহার ও নেতিবাচক প্রচার পরিহার করে মোংলা বন্দরের উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।