1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
লগি বৈঠার তাণ্ডবে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল- ডা. শফিকুর রহমান - Khulnar Khobor
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নিউজ পোর্টাল ‘সূর্যোদয় খুলনা’-এর যাত্রা শুরু কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে বিএনপির উঠান বৈঠক কেশবপুরে “শেকড়ের সন্ধানে”র আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ডুমুরিয়ায় জামায়াতের হিন্দু সম্মেলন, ৫৪ বছর লাঙল-ধানের শীষের,নৌকার শাসন দেখেছি একটি দলই বাকি জামায়াতের দাড়িপাল্লা : গোলাম পরওয়ার ‎নভেম্বর খুলনার নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর খুলনার পাইকগাছায় দুই জন প্রতিবন্ধী নারী কে হুইলচেয়ার দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন পাইকগাছায় বিদ্যালয়ের পাশে পোল্ট্রি ফার্ম দুর্গন্ধে  পাঠদান চরম ব্যাহত  যশোর সদর আ লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম আটক তেরখাদা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অস্ত্র সরবরাহকারী আটক কেশবপুরের বড়েঙ্গা মাদ্রাসার সহ-সভাপতির মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপসায় বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ নার্সিং প্রশাসনকে ভিন্ন অধিদপ্তরে একিভূত করনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অভিযান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক – ১ যশোরে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানার বানানোর সময় দুইজন আটক মহানগর যুবদলের উদ্যোগে খুদেরখাল পরিচ্ছন্ন অভিযান খুলনার জেলা নতুন কারাগার লুটপাটের এক মেঘা প্রকল্প কেশবপুরে বিএনপি’র মহিলা দলনেত্রীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে একটি সরকার গঠন হতে যাচ্ছে -বিএনপি নেতা কাজী শিপন 

লগি বৈঠার তাণ্ডবে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল- ডা. শফিকুর রহমান

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৫০ বার শেয়ার হয়েছে

রায়হান শরীফ সাব্বির, ঢাকা || বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতা,গণতন্ত্রকে এবং জনগণের ইচ্ছা ও আশা-আকাঙক্ষাকে জবাই করা হয়েছিল। ঐদিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল।

তিনি বলেন,মুষ্টিমেয় কিছু দুর্বৃত্ত ছাড়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মজলুম ছিলেন। আর মজুলুমদের সামনের কাতারে ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের রুকন(সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা মো. গোলাম রাজ্জাক। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান,সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান,কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব,কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন,ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা.ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগরী উত্তর শিবির সভাপতি আনিসুর রহমান, পশ্চিমের সভাপতি সালাহ মাহমুদ প্রমুখ।

জামায়াত আমির বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ ও কষ্ট স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ আবার আপন পথ ফিরে পেয়েছে।

তিনি বলেন,যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তারা কোনো অপরাধ করেননি। তারা জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে এসেছিল। তারা কাউকে আঘাত করেনি। সম্পূর্ণ গায়ের ওপর পড়ে তাদেরকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। মাটিতে পড়ে যাওয়া লাশগুলোর ওপর পাষাণরা সেদিন দাঁড়িয়ে নাচানাচি করেছিল।
ডা. শফিকুর বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে লাশ চুরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই বেদনায়ক ইতিহাসও তারা চুরি করে ফেলল। খুনের মাস্টারমাইন্ড, যার ওপর দায় আসে-তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। ক্ষমতার গরমে সেই মামলা শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ চাইলে মাটির নিচ থেকে সেই মামলা উঠে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন,সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। বহু শিশু এই দৃশ্য দেখার পর একনাগারে অনেকদিন রাতে ঘুমাতে পারেনি, চিৎকার দিয়ে উঠেছিল। কিন্তু মজলুমরা তার বিচার পায়নি।

জামায়াতের আমির বলেন,ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সাজানো-পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিল তারা। এখন তাদের নাম সাহস করে কেউ নেয় না। তাদের দল (আওয়ামী লীগ) যারা করে তারাও সেই নাম নিতে চায় না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন?

তিনি আরো বলেন,তাদেরকে তারা নিজেরা নিষিদ্ধ করার ইতিহাস আছে। তারা যখন বাকশাল কায়েম করে তখন তাদের দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। আর এবার আল্লাহর সাহায্য নিয়ে জনগণ তাদের দলকে নিষিদ্ধ করেছে।ডা. শফিকুর বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সাথে তারা দেশ শাসন করেছেন। ক্ষমতায় আসার মাত্র ২ মাসের মাথায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর গায়ে তারা আঘাত করে ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে বেদনাদায়কভাবে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন,সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছিল তা জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য। নেপথ্যের নায়কদেরকে,হুকুমদাতাদেরকে,দৃষ্কৃতিকারীদেরকে আড়াল করার জন্য। মিডিয়ার সদস্যরা হাতের পুতুল ও বলির পাঠা ছিল। এদের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক ছিল না।
২০১২ সালে কারাবরণ করে কারাঅভ্যন্তরে সেই খুনিদের সঙ্গে নিজের কথোপকথনের সময় তাদের কাছে যে বিবরণ পেয়েছেন তা তিনি তুলে ধরে বলেন,‘তিনি একজন খুনির কাছে জানতে চেয়েছিলেন-এই ষড়যন্ত্রের নায়ক কারা? জবাবে খুনি নাম বলেছিল। তার ভাষ্যমতে সেই খুনিই দেশনায়কে পরিণত হয়েছিল, বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, এই খুনিরা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এরা রাজা রাণীর বেশে ছিল। এরপরই তারা একই সাথে দুটো বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিল এবং বিডিআরের নাম নিশানা মুছে দিয়েছিল। শুধু ক্ষমতার অবৈধ আশা পূরণের জন্য তারা একাজ করেছিল। ঐ কুখ্যাত দলে নেতা-নেত্রীরাই এই কাজ করেছিলেন।তিনি বলেন,বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকারা তাদের অপরাধের পাওনা এখনো পায়নি। এ পাওনা তাদেরকে পেতে হবে।

জামায়াতের আমির বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আঘাত দিতে শুরু করে। কারণ, তারা জানত জামায়াত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কারে কাছে বিলিয়ে দিতে রাজি হয়নি। বিক্রি করতে রাজি হয়নি এবং কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি। তাই তারা তিলে তিলে গড়ে ওঠা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করেছে। বর্তমানে রাজপথের স্লোগান হলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-জামায়াতের স্লোগানও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল খুনিদের বিচার করতে হবে। তবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগে সাম্প্রতিক গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার এজন্য করতে হবে- শহীদদের তাজা রক্ত এখনো ভাসছে। আহতরা কাতরাচ্ছে। সাক্ষী মজুদ। আলামত জীবন্ত ও স্পষ্ট। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে ওদেরকে সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।জামায়াত আমির বলেন, আমরা কোনো জুলুম ও অবিচার কারো ওপর চাই না।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।