1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
ভিক্ষুকমুক্ত’ খুলনায় ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি?পেশাদার ভিক্ষুকের যন্ত্রণায় বিব্রতকর অবস্থায় সাধারণ মানুষ - Khulnar Khobor
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
মোল্লাহাটের নগরকান্দি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মোল্লাহাটে দেশনেন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তেরখাদায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন কর্মচারীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু খুলনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় সাবেক যুবনেতা সোহেল আহমেদের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খুলনায় নিসচা’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ক্লে-রোড, কে.ডি. ঘোষ ও ডাকবাংলো এলাকার সড়ক ও ফুটপথ থেকে অবৈধ দখলদারদের অপসারণ অভিযান পাইকগাছায় জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এমইউজে খুলনার দোয়া যশোরে চোরাই ইজিবাইক নিয়ে দ্বন্দ্ব নারী ছুরিকাহত গ্রামপুলিশকে গণধোলাই কেশবপুরে ভাইপোর বিরুদ্ধে চাচার সংবাদ সম্মেলন মোংলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ডুমুরিয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শার্শায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে আলোচনা ও দোয়া আনুষ্ঠিত যশোরে অবৈধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগে দুটি দোকানে অভিযান বিশ্ব এইডস দিবস যশোরে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত খুলনার সমাবেশ মঞ্চে জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর   মোল্লাহাটে অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। ৭৪ বছর পূর্ণ করে ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো মোংলা বন্দর ১ নং জলমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এ ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ।

ভিক্ষুকমুক্ত’ খুলনায় ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি?পেশাদার ভিক্ষুকের যন্ত্রণায় বিব্রতকর অবস্থায় সাধারণ মানুষ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৬৮ বার শেয়ার হয়েছে

ইমরুল ইসলাম ইমন,খুলনা প্রতিনিধি || ৭ বছর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে খুলনাকে দেশের প্রথম ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরো উল্টো, খুলনায় এখন ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি। অভিযোগ রয়েছে,ভিক্ষুক পুনর্বাসনের নামে ঐ সময় সরকারি অর্থ লোপাট করা হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়,খুলনা মহানগরীর রাস্তাঘাট,অলিগলি, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়,বাণিজ্যিক কেন্দ্র,বাস টার্মিনাল,লঞ্চ টার্মিনাল,ট্রেন স্টেশন,হাসপাতাল,মসজিদ,কবরস্থান সবখানেই ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি। বাজার দরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিক্ষুক ও ভিক্ষার পরিমাণ। কয়েক বছর আগে ভিক্ষুকদের ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা,দুই টাকা দিলেই তারা হাসিমুখে নিত। এখন পাঁচ টাকার নিচে ভিক্ষুকরা আর ভিক্ষা নিতে চান না। পাঁচ টাকার কম দিলে অনেক ভিক্ষুক অসন্তোষ প্রকাশ করে। আবার ভিক্ষা না দিলে অনেক ভিক্ষুক গালমন্দও করেন। এ কারণে পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে প্রায়শই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।পাশাপাশি নগরীর যেসকল পয়েন্টে খাবার বিক্রি করা হয়,সেসকল পয়েন্টে এসকল ভিক্ষুকের উৎপাতে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।কখনো জামা-কাপড় ধরে টানে তো কখনো খাবার কিনে দিতে বলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০১৬ সালের ১ আগস্ট খুলনা বিভাগকে ভিক্ষুকমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৮ মে তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ঢাকঢোল পিটিয়ে খুলনা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেন। তখন বলা হয়েছিল খুলনায় আর কখনো ভিক্ষুকের দেখা মিলবে না। কিন্তু বাস্তবে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় সেই প্রতিশ্রুতি শুধু ঘোষণাই থেকে গেছে।

খুলনা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯৫ জন ভিক্ষুকের নাম নিবন্ধন করা হয়।এরপর তিন ধাপে তাদেরকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ১৪ প্রকার পুনর্বাসন সামগ্রী—সেলাই মেশিন, ভ্যান-রিকশা,হাঁসমুরগি,মুদি দোকান,পুরাতন কাপড় বিক্রি, ডিম বিক্রি,কাঁচামালের ব্যবসা,পিঠা তৈরি,ওজন মাপা মেশিন,ঝাল-মুড়ি ও চানাচুর বিক্রি,আগরবাতি তৈরির মালামাল, টক দই বিক্রি, ঠোঙা বিক্রি, হাঁড়ি-পাতিল বিক্রি, শাকসবজি বিক্রির ভ্যানগাড়ি,চায়ের দোকানের উপকরণ দেওয়া হয়েছিল। ঐ বছরই ৮মে জেলা প্রশাসন খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ পেশাদার ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেন।

এদিকে,খুলনা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) খুলনা জেলায় ১২৩ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এ জন্য ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে খাতা-কলমে পুনর্বাসনের কথা থাকলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন নেই।

জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়,২০১৭ সালে খুলনা মহানগরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ৪৯৭ জন ভিক্ষুক শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে তিন ধাপে ৩ হাজার ৪৬৩ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন উপকরণ প্রদান ও রেশনিংয়ের আওতায় এনে পুনর্বাসিত করা হয়। এ সময় ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি ফান্ডে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন,পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সংগঠন, সমিতি, এনজিও ও বিত্তবানদের সহযোগিতায় ৮৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৭ টাকা সংগ্রহ করা হয়। এ থেকে ৭২ লাখ ১ হাজার ৫৮৫ টাকা পুনর্বাসন কাজে ব্যয় হয়। অবশিষ্ট ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭২ টাকা দিয়ে পরবর্তী সময়ে এ কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এ কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে।

কুলসুম নামে এক বৃদ্ধা ভিক্ষুক জানান, তার বাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামে। ছেলেমেয়ে নেই। সরকারের পুনর্বাসন প্রকল্পের কোনো সুযোগ-সুবিধা তিনি পাননি।

নগরীতে ভিক্ষারত আরেক ভিক্ষুক আ: কাদের বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে গত চার-পাঁচ বছর ধরে ভিক্ষা করতে বাধ্য হইছি। ভিক্ষা না করে উপায় নেই তার।

খুলনা শহরের মার্কেট,বিপনি বিতান,অফিস, আদালত,পথচারীদের সাথে কথা বললে,তারা ক্ষোভের সহিত বলেন,কোনো জায়গায় কেনাকাটা করতে গেলে ভিক্ষুকরা ঘিরে ধরে । ভিক্ষুকদের কারণে মানুষকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দেশের প্রথম ভিক্ষুকমুক্ত জেলা খুলনায় এখনো ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি। ভিক্ষুক ছাড়া কোনো জায়গা নেই। মূলত খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা ছিল তৎকালীন প্রশাসন ও সরকারের জনগণের সঙ্গে একটি ধাপ্পাবাজি। সেই সময় সরকারের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকা দিতেই ঢাকঢোল পিটিয়ে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত প্রথম জেলা ঘোষণা করা হয়েছিল।

খুলনা জেলা সমাজসেবা দপ্তরের উপপরিচালক কানিজ মোস্তফা বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত খুলনা ঘোষণার পর অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাদের অনেকেই আবার ভিক্ষাবৃত্তিতে ফিরে এসেছে। তবে এখনো ভিক্ষুকদের বিভিন্ন সময়ে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসিত করার চেষ্টা চলমান আছে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।