নিজস্ব প্রতিবেদক || গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতার জের ধরে একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এসময় তাকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একজন উপাচার্যকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করে তোলা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষকরা।
ঐদিন ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা এক শিক্ষকের বরাতে জানা যায়, ১৮ তারিখ বিকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভাইস-চ্যান্সেলর সহ কিছু শিক্ষক- কর্মকর্তাকে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ করে। নীচে একদল শিক্ষার্থী অবস্থান করে দফায় দফায় উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে একদল শিক্ষার্থী উপরে উঠে ভিসিকে বের করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবরুদ্ধ রুমের দরজায় লাথি মারে ও ভাইস চ্যান্সেলরের উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। দরজা ভাঙতে না পেরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ভাইস চ্যান্সেলরসহ বাকি অবরুদ্ধ শিক্ষকদের রুমের ভেতর রেখে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়। এঘটনায় কুয়েটের সাধারণ শিক্ষক, ছাত্ররা ভীতসন্ত্রস্ত এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। একইসাথে ভিসির উপর এই ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা ও হুমকির সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানায়।
কুয়েটের উপাচার্যের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছিত করার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা । একইসাথে যেকোন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।