1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
কানাকুয়া পাখির ডাকে কি, বৃষ্টি নামে? - Khulnar Khobor
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেশবপুরে ভাইপোর বিরুদ্ধে চাচার সংবাদ সম্মেলন মোংলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ডুমুরিয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, প্রশাসনিক ক্যু করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শার্শায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে আলোচনা ও দোয়া আনুষ্ঠিত যশোরে অবৈধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগে দুটি দোকানে অভিযান বিশ্ব এইডস দিবস যশোরে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত খুলনার সমাবেশ মঞ্চে জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর   মোল্লাহাটে অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। ৭৪ বছর পূর্ণ করে ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো মোংলা বন্দর ১ নং জলমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এ ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ। দিঘলিয়ায় জাতীয় পার্টি সভাপতি অ্যাড. লুৎফর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নে ফ্রি ভেটেরিনারী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন  যশোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গাঁজাসহ যুবক আটক কেশবপুর উপজেলার ব্যবসায়ী মশিয়ার রহমান-এর দাফন সম্পন্ন খুলনার আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে গু-লি ও কু-পি-য়ে দুই যুবক কে হ/ত্যা /করেছে দু”র্বৃ”ত্ত”রা। দিঘলিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা। পাইকগাছায় ওয়াশ বাজেটিং বিষয়ে সিএসও/সিবিওদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত ফার্মাসিস্ট-মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি অচল যশোর সদর হাসপাতাল খুলনা নগরীর দৌলতপুরে আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড লোটো ও লি কুপার-এর ১৩৭তম আউটলেট’র উদ্বোধন করা হয়েছে।

কানাকুয়া পাখির ডাকে কি, বৃষ্টি নামে?

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১৩৬ বার শেয়ার হয়েছে

অদিতি সাহা,খুলনার খবর ||একটা সময় ছিল, যখন গ্রামের সকালে কিংবা দুপুরের বৃষ্টিভেজা বাতাসে হঠাৎ করেই কোথা থেকে যেন এক মিষ্টি অথচ রহস্যময় সুরে ভেসে আসতো—কুপ-কুপ-কুপ।

সেই সুরে যেন প্রকৃতি নিজেই ডাকে; কারও মনোযোগ চায়। আশপাশের বড়রা তখন বলতেন, ‘দেখিস, কানাকুয়া ডাকছে, এখনই বৃষ্টি নামবে!’ যেন পাখির ডাকেই প্রকৃতি সাড়া দেয়। এ বিশ্বাস শুধু কুসংস্কার নয় বরং প্রকৃতি আর প্রাণীর মাঝে গভীর সম্পর্কের প্রমাণ।

বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে পরিচিত এক পাখির নাম কানাকুয়া। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘গ্রেটার কোকাল’ আর বৈজ্ঞানিক নাম ‘সেন্ট্রোপাস সাইনেনসিস’। এটি কোকিল পরিবারের সদস্য হলেও কোকিলের মতো পরজীবী নয়। কোকিল যেমন অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে; কানাকুয়া কিন্তু নিজের মতো করে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে বাসা বানিয়ে সংসার সাজায়।

বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাখিটির আছে নানা নাম। কেউ বলে কুপ পাখি, কেউ বলে কুবো, কানাকুও। আবার কোথাও কুক্কাল, কানাকোকা কিংবা কানা কুবো। যদিও কানা শব্দটি ব্যবহৃত হলেও পাখিটি অন্ধ নয়। এসব নাম মূলত তাদের ডাকের সুরের ওপর ভিত্তি করেই এসেছে।
পাখিটির রং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পুরো শরীর কালচে, তবে সূর্যের আলোতে তা চকচকে হয়। ডানাগুলো বাদামি রঙের, লম্বা লেজ একদম কুচকুচে কালো। চোখের মণি কালো হলেও তার চারপাশ ঘিরে থাকে লালচে বৃত্ত, যা একে রহস্যময় রূপ দেয়। পা থেকে নখ পর্যন্ত কালো বর্ণের। হাঁটা-চলা করে নিঃশব্দে, যেন প্রকৃতির নীরব এক চরিত্র। গাছের ডালে কম বসে বরং ঝোঁপঝাড়, খালপাড় কিংবা ধানক্ষেতের গা ঘেঁষে চুপচাপ হেঁটে চলে।

কানাকুয়া মূলত মাংসাশী পাখি। তারা শুঁয়োপোকা, ঘাসফড়িং, টিকটিকি, ব্যাঙ—এমনকি ছোট পাখির ডিম ও ছানা খেয়ে থাকে। ফলে ছোট পাখিরা একে ভয় পায়। প্রায়ই একা দেখা যায়, তবে জোড়া বাঁধলে যুগলে ঘোরে। এদের চলাফেরায় যেমন ধীরতা; তেমনই আছে একধরনের আত্মস্থতা।
বাংলার লোকসংস্কৃতিতে কানাকুয়ার ডাক একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্বাসে রূপ নিয়েছে। বলা হয়, এ পাখি ডাকলে বৃষ্টি হয়। আবার কিছু অঞ্চলে বিশ্বাস করা হয়, এ পাখির ডাক শোনা মানেই কোনো অশুভ সংবাদ আসতে পারে। যদিও এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। প্রাকৃতিক ছন্দের সঙ্গে এদের ডাকার সময় এবং আবহাওয়ার মিল দেখে হয়তো মানুষের মনে এ বিশ্বাস গেঁথে আছে।

একসময় গ্রামে সহজেই চোখে পড়তো এ পাখি। কিন্তু এখন অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। নগরায়ন, বনাঞ্চলের অবলুপ্তি, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার আর খাদ্যচক্রের ভারসাম্যহীনতার কারণে আজ কানাকুয়াও বিপন্ন হওয়ার পথে। শহরের ইট-পাথরের জঞ্জালে এরা হারিয়ে যেতে বসেছে।

তবুও এখনো যারা ভোরবেলা গ্রাম কিংবা শহরের সবুজ প্রান্তে হাঁটতে যান; তারা কখনো কখনো শুনতে পান সেই চিরচেনা ডাক—কুপ-কুপ-কুপ। তখন বাতাসে মিশে যায় এক মধুর স্মৃতি। চোখে ভেসে ওঠে দাদার গল্প। দাদি মুখে হাসি এনে বলে উঠতেন, ‘দেখিস, কানাকুয়া ডাকছে—বৃষ্টি নামবে!’

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।