1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
কানাকুয়া পাখির ডাকে কি, বৃষ্টি নামে? - Khulnar Khobor
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) ,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
জোট সমঝোতায় নড়াইল-২ এর ধানের শীষের কান্ডারী হলেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড.ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নৌবাহিনীর বাৎসরিক টেনিস ও স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা-২০২৫ সমাপ্ত দিঘলিয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্ত পিআইও মোহাম্মদ জামাল হুসাইন মোল্লাহটে বাগেরহাট-১ আসনের এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থীর সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুর পাইলট মাঃ বাঃ বিদ্যালয়ের বা‌র্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পাইকগাছায় কৃষকের পাঁকা ধান বিএনপি নেতা জোরপূর্বক কেটে নেওয়ায় থানায় অভিযোগ যশোরে মৎস্যজীবী দলের মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি জিয়াউর রহমানের আদর্শের পতাকাতলেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলছে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত দিঘলিয়ায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা ও মতবিনিময়। বটিয়াঘাটায় তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত যশোরে বিএনপির উদ্যোগে দুইটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত নওগাঁ ‎মান্দায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার ‎অভিযোগ” আটক ৩ কেশবপুরে জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জামাদিসহ এক যুবক গ্রেফতার এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ, সেই তন্বীসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা খুলনায় যুবকের দুই হাতের কজ্বি কেটে নিলো সন্ত্রাসীরা পিকআপভর্তি আসবাবের ভেতর মিলল ৪৫ কেজি গাঁজা যশোরে আটক দুইজন নওগাঁয় ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা” প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ‎ দিঘলিয়ায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন মিছিল পাইকগাছায় শিক্ষক বদিউজ্জামানের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাগেরহাটের তিন আসনে মনোনয়ন ফরম কিনলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ এইচ সেলিম। খুলনার সোনাডাঙায় মুক্তা হাউজে এনসিপি নেতাকে গুলি

কানাকুয়া পাখির ডাকে কি, বৃষ্টি নামে?

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১৪৯ বার শেয়ার হয়েছে

অদিতি সাহা,খুলনার খবর ||একটা সময় ছিল, যখন গ্রামের সকালে কিংবা দুপুরের বৃষ্টিভেজা বাতাসে হঠাৎ করেই কোথা থেকে যেন এক মিষ্টি অথচ রহস্যময় সুরে ভেসে আসতো—কুপ-কুপ-কুপ।

সেই সুরে যেন প্রকৃতি নিজেই ডাকে; কারও মনোযোগ চায়। আশপাশের বড়রা তখন বলতেন, ‘দেখিস, কানাকুয়া ডাকছে, এখনই বৃষ্টি নামবে!’ যেন পাখির ডাকেই প্রকৃতি সাড়া দেয়। এ বিশ্বাস শুধু কুসংস্কার নয় বরং প্রকৃতি আর প্রাণীর মাঝে গভীর সম্পর্কের প্রমাণ।

বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনে পরিচিত এক পাখির নাম কানাকুয়া। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘গ্রেটার কোকাল’ আর বৈজ্ঞানিক নাম ‘সেন্ট্রোপাস সাইনেনসিস’। এটি কোকিল পরিবারের সদস্য হলেও কোকিলের মতো পরজীবী নয়। কোকিল যেমন অন্য পাখির বাসায় ডিম পাড়ে; কানাকুয়া কিন্তু নিজের মতো করে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে বাসা বানিয়ে সংসার সাজায়।

বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাখিটির আছে নানা নাম। কেউ বলে কুপ পাখি, কেউ বলে কুবো, কানাকুও। আবার কোথাও কুক্কাল, কানাকোকা কিংবা কানা কুবো। যদিও কানা শব্দটি ব্যবহৃত হলেও পাখিটি অন্ধ নয়। এসব নাম মূলত তাদের ডাকের সুরের ওপর ভিত্তি করেই এসেছে।
পাখিটির রং অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পুরো শরীর কালচে, তবে সূর্যের আলোতে তা চকচকে হয়। ডানাগুলো বাদামি রঙের, লম্বা লেজ একদম কুচকুচে কালো। চোখের মণি কালো হলেও তার চারপাশ ঘিরে থাকে লালচে বৃত্ত, যা একে রহস্যময় রূপ দেয়। পা থেকে নখ পর্যন্ত কালো বর্ণের। হাঁটা-চলা করে নিঃশব্দে, যেন প্রকৃতির নীরব এক চরিত্র। গাছের ডালে কম বসে বরং ঝোঁপঝাড়, খালপাড় কিংবা ধানক্ষেতের গা ঘেঁষে চুপচাপ হেঁটে চলে।

কানাকুয়া মূলত মাংসাশী পাখি। তারা শুঁয়োপোকা, ঘাসফড়িং, টিকটিকি, ব্যাঙ—এমনকি ছোট পাখির ডিম ও ছানা খেয়ে থাকে। ফলে ছোট পাখিরা একে ভয় পায়। প্রায়ই একা দেখা যায়, তবে জোড়া বাঁধলে যুগলে ঘোরে। এদের চলাফেরায় যেমন ধীরতা; তেমনই আছে একধরনের আত্মস্থতা।
বাংলার লোকসংস্কৃতিতে কানাকুয়ার ডাক একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্বাসে রূপ নিয়েছে। বলা হয়, এ পাখি ডাকলে বৃষ্টি হয়। আবার কিছু অঞ্চলে বিশ্বাস করা হয়, এ পাখির ডাক শোনা মানেই কোনো অশুভ সংবাদ আসতে পারে। যদিও এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে লোকজ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। প্রাকৃতিক ছন্দের সঙ্গে এদের ডাকার সময় এবং আবহাওয়ার মিল দেখে হয়তো মানুষের মনে এ বিশ্বাস গেঁথে আছে।

একসময় গ্রামে সহজেই চোখে পড়তো এ পাখি। কিন্তু এখন অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। নগরায়ন, বনাঞ্চলের অবলুপ্তি, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার আর খাদ্যচক্রের ভারসাম্যহীনতার কারণে আজ কানাকুয়াও বিপন্ন হওয়ার পথে। শহরের ইট-পাথরের জঞ্জালে এরা হারিয়ে যেতে বসেছে।

তবুও এখনো যারা ভোরবেলা গ্রাম কিংবা শহরের সবুজ প্রান্তে হাঁটতে যান; তারা কখনো কখনো শুনতে পান সেই চিরচেনা ডাক—কুপ-কুপ-কুপ। তখন বাতাসে মিশে যায় এক মধুর স্মৃতি। চোখে ভেসে ওঠে দাদার গল্প। দাদি মুখে হাসি এনে বলে উঠতেন, ‘দেখিস, কানাকুয়া ডাকছে—বৃষ্টি নামবে!’

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।