রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ,খুলনার খবর ||ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শৈলমারী গ্রামে আদালতের নির্দেশে মো. সিরাজুল ইসলামের বেদখল হওয়া জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানুর রহমান পুলিশের সহযোগিতায় উপস্থিত থেকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা লাল পতাকা (রেড ফ্ল্যাগ) নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে দলিলপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ অনুযায়ী মো. সিরাজুল ইসলামের পক্ষে তার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ফরিদপুর আদালতে সিআর মামলা নং ১৪৬/২৪ (তারিখ: ১৫/০৮/২০২৪) দায়ের করেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবাদীরা সুকৌশলে এলাকার ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে নালিশকারীর পিতার জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন।
২০২৫ সালের ৮ মে সকাল ১০টায় প্রশাসনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রায় ২০-৩০ জন শ্রমিক নিয়ে উল্লেখিত ৫ শতাংশ জমি জবরদখল করে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়।
পরবর্তীতে আদালতে বিবাদীরা অঙ্গীকারনামা দেন যে, তারা উক্ত জমিতে স্থাপিত স্থাপনা উচ্ছেদ করলে কোনো আপত্তি থাকবে না।
জমিটি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ২১ নং বিল জুয়ারিয়া টিকরপাড়া মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৪৭৯ ও বিএস দাগ নং ২৬৯ এর আওতাধীন ১৩ শতাংশ জমির মধ্যে অবস্থিত। এর মধ্যে ৫ শতাংশ জমি দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে সিরাজুল ইসলামের পরিবার ভোগদখল করে আসছিলেন। জমিটির উত্তর পাশে কামাল শেখের নামে মসজিদ এবং সড়ক সংলগ্ন অংশ রয়েছে, যা তিনি ২০২২ সালের ৩১ জুলাই তারিখে ১৮৯৮ সনের রেজিস্ট্রার্ড দলিল মূলে ক্রয় করেন।
বাদী শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা তিন প্রজন্ম ধরে এই জমিতে বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের সুযোগে একটি পক্ষ মব গঠন করে প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক ঘর তোলে। আদালতের দারস্থ হয়ে আমরা ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছি।”
অপরদিকে বিবাদী তবিবুর রহমান বলেন,বাদী শরিফুলে দাদারা ৬ ভাই মাদ্রাসা নামে লিখে দিয়েছে এক ভাই নি:সন্তান ছিল।দীর্ঘ তার বাপ চাচারা মাদ্রাসা সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছে।এর মাঝে সুকৌশলে ওর বাপ ৫ শতাংশ জাল রেকর্ড করে নিয়েছে।সেই জাল রেকর্ডীয় জমি মাদ্রাসা ভিতর নয় অন্য দাগে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানুর রহমান বলেন, “আদালতের রায়ের আলোকে বাদী পক্ষকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মামলাটি চলমান, তাই জমির উপর নির্মিত ঘরটি ভাঙা হবে না। সাবেক এবং বর্তমান রেকর্ড যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সহ দখল প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।
কেউ আইন অমান্য করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।