খুলনার খবর ||খুলনার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী (১১ ) কে ধর্ষণের অভিযোগে রূপসা উপজেলার আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ (৪৪) কে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। এর আগে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষক স্বল্প বাহিরদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আকবর আলীর ছেলে।
এদিকে এ ঘটনায় খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা জানিয়ে নারী শিশু আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম।
রূপসা থানার ডিউটি অফিসার মো. ছাত্তার জানান, ১৬ জুলাই দুপুর ১ টা ২৫ মিনিটের দিকে উপজেলার আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী টিফিনের সময়ে ওয়াসরুমে যায়। এ সময়ে আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয় শেখ ওই শিশুটির পিছু নেয়। ওয়াসরুমে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিক্ষক শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনার পরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের সদস্য বাদী হয়ে রূপসা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে এনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন যার নং ১৪। এ অভিযোগে পুলিশ রোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অসিত কুমার বলেন, শনিবার রাতে মামলা হলে পরের দিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর ১২ দিকে ওই শিশুটি খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, শিশুটিকে সকালে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।