মোঃ শহিদুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি || বিএমএর খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন,‘দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর মন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ও একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন হবে। এ কমিটির তদন্তে যার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হবে, সে শাস্তি ভোগ করবে। কমিটি গঠিত হওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
খুলনায় চিকিৎসককে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে রোববার রাত ১০টার দিকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমএর খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন,‘দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর মন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ও একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন হবে। এ কমিটির তদন্তে যার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হবে, সে শাস্তি ভোগ করবে। কমিটি গঠিত হওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএ এর সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহীউদ্দীন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএস কামাল ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত,গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল হক নার্সিং হোমে এক রোগীকে অপারেশন করছিলেন ডা.শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ। একই হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস আগে আরেক শিশু রোগীকেও তিনি অপারেশন করেছিলেন। তবে সে সুস্থ না হওয়ার অভিযোগ এনে তার বাবা পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান শেখ চিকিৎসকের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন চিকিৎসক।
পরদিন ১ মার্চ সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানায় শিশুটির মা নুসরত আরা ময়না ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও অঙ্গহানি করার অভিযোগে পাল্টা মামলা করেন।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) এ মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলা দুটি করা হয় এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি নিয়ে এএসআই নাঈমুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ১ থেকে ৪ মার্চ খুলনার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা। ৪ মার্চ খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের আশ্বাসে তারা এক সপ্তাহের জন্য কর্মবিরতি স্থগিত করেছিলেন। এরপর ১১ মার্চ আবারও মেয়রের আশ্বাসে বিএমএ তাদের কর্মবিরতি ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।