1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
কেশবপুরে গাভী পালন বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় সাবেক এমপি রশিদুজ্জামানের শাস্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কেশবপুরে ১৫ টাকা দরে চাল বিতরণ শুরু নৌবাহিনী পরিচালিত যৌথ অভিযানে খুলনায় মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার মান্দায় জাতীয় পার্টির উপজেলা দিবস পালন মোংলায় খুন হওয়া মাহে আলমের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন নওগাঁ মান্দার জাহিদের দু’টি কৃত্রিম পায়ের আকুতি তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন খুলনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা;খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ততা গাছিদের মোরেলগঞ্জে আ.লীগ নেতার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনায় গণজমায়েত-মিছিল পাইকগাছায় ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত খুলনায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে মহানগর নিসচা’র বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালিত যশোরে মনিহার সিনেমাহল হচ্ছে সিনেপ্লেক্স বটিয়াঘাটায় তুচ্ছ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কেশবপুরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান উপলক্ষে কর্মশালা কম খরচে কৃষিপণ্য পরিবহনে চালু হলো বিশেষ ট্রেন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭০ বার শেয়ার হয়েছে

শেখ নাসির উদ্দিন || ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯৮৭ সালের ১৩ ই মার্চের এই দিনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর উদ্যোগে আলোচনার সভা আজ বাদ আছর পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ আইএবি মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

সাফল্যের ৩৬ বছর পেরিয়ে ঐতিহাসিক ১৩ই মার্চ ১৯৮৭ উত্তাল ঢাকা নগরী। স্বৈরশাহীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হিংস্র প্রতিরোধ ব্যুহ ভেদ করে জনতার স্রোত ধেয়ে চললো শাপলা চত্বর অভিমুখে। দিশেহারা হয়ে যায় স্বৈরশাহী। পেটোয়া বাহিনী আগেই প্রস্তুত ছিলো সমাবেশ ঠেকাতে। আগের দিনই পুলিশ সমাবেশ মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলেছিলো। গ্রেফতার করেছিলো ইসলামী আন্দোলনের ৮ জন কর্মীকে। অতএব পরিস্থিতি ছিলো উত্তপ্ত। পুলিশ ঘিরে রেখেছিলো গোটা মতিঝিল ও দৈনিক বাংলা এলাকা। উপরের কঠোর নির্দেশ; কোনো রকম সমাবেশ করতে দিবে না তারা আজ। স্বৈর সরকার ইতিমধ্যে টের পেয়ে গেছে ইসলামী জনতার এই স্রোত সরকার বিরোধী আন্দোলনকে আরো গতিময় করে অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে। ইসলামের পক্ষে একটি গণ-অভ্যুত্থানের আশংকায় শংকিত হয়ে পড়েছিলো একটি মহল। অতএব যে কোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে এই মহা শক্তিকে। মাথা সোজা করে দাঁড়াতে দেয়া যাবে না এ মিশনকে।

পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক লাখো ইসলামী জনতার উপর চালানো হয় হিংস্র বর্বরতা। বায়তুল মোকাররমের পবিত্র অঙ্গনে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পায়নি ঈমানদার জনতা। বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস আর বুলেটের মহাযজ্ঞ চালিয়ে উল্লাসিত হলো হায়েনার পেটোয়ারা। জাতীয় বায়তুল্লাহ রঞ্জিত হলো আহতদের ছোপ ছোপ রক্তে। সেদিন শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে দেয়নি ওরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেও সেদিন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো হিংস্র পুলিশ। সেদিন ‍অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছিলো। এক রক্ত ঝরা অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে সূচনা হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অভিযাত্রা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর পরিচিতিঃ
আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে সত্য দীনসহ অগণিত নবী-রাসূল সা. প্রেরণ করেছেন। নবী-রাসূলগণ সা. হক-বাতিল, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সফলতা-ব্যর্থতার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিধানপূর্বক শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তির সঠিক পন্থা নির্ধারণ করে গেছেন। তাঁরা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের প্রতিরোধের মাধ্যমে মানবজীবনকে সুন্দর , সফল, সার্থক ও শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় সমাসীন করেছেন। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর পর এ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উম্মতে মুহাম্মদী অর্থাৎ গোটা মুসরিম জাতির ওপর। এ দায়িত্ব মুসলমানরা যে যুগে যতটুকু পালন করেছেন সে যুগে ততটুকু শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তি পেয়েছেন।

আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামের সুমহান আদর্শে দেশের শতকরা প্রায় ৯০ জন লোক বিশ্বাসী। ইসলামের প্রতি এদেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও দরদ অত্যন্ত গভীর। জনগণ চায় ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হোক। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী, কায়েমী স্বার্থবাদী মহল, সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের এজেন্টদের বহুমুখী ষড়যন্ত্র ইসলামী আদর্শ কায়েমের পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে। একদিকে জনগণকে বার বার ধোকা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য শাসকগোষ্ঠী ইসলামের নাম ব্যবহার করে আসছে। অন্যদিকে ইসলামের উত্থানকে ঠেকানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ফলে দেশে বিরাজ করছে অগণিত সমস্যা। এ সমস্যার কথা অনেকেই স্বীকার করেন এবং তা সমাধানে বার বার আন্দোলনও হয়েছে, কিন্তু সমস্যা রয়েই গেছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানেরর জন্য সর্বাগ্রে মূল কারণ চিহ্নি করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত নৈতিক আদর্শ বিবর্জিত সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের অবসান ঘটিয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য, খোদাভীরু লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের কোন সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সত্য উপলব্ধির প্রেক্ষিতে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ওলামায়ে কিরাম, পীর-মাশায়েখ ও দীনদার বুদ্ধিজীবীগণের নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালের ১৩ই মার্চ জালেম শাসকগোষ্ঠী ও শোষণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা গত ২০ নভেম্বর’০৮ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে নিবন্ধন লাভ করে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর নিবন্ধন নং-০৩৪।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দল নয়। দলাদলী ইসলাম সমর্থন করে না, কারণ দলীয় রাজনীতি সংকীর্ণতা, কোন্দল ও হানাহানি সৃষ্টির নামান্তর। দলীয় রাজনীতি মুসলিম উম্মাহর সংহতি ও ঐক্যকে বিনষ্ট করে উম্মাহকে শতধাবিভক্ত করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বস্তুতঃ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দল-মত নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন। স্বাধীনতা আন্দোলন কিংবা ভাষা আন্দোলন যেমন কোন দলীয় আন্দোলন ছিল না, যা ছিল দু’টি ইস্যুকে সামনে রেখে দলমত নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন আন্দোলন। অনুরূপ নিছক নেতা বা সরকার পরিবর্তন নয়, দেশে প্রচলিত মানবরচিত সকল অনৈসলামী নীতি এবং জাহেলী সমাজের সার্বিক পরিবর্তন সাধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামী আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ৫২’র ভাষা আন্দোলন বা ’৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে ইসলামী আন্দোলনের কোনরূপ তুলনা করা হয়নি। কারণ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাথে অন্য কোন আন্দোলনের তুলনা করা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। এটা শুধুমাত্র আন্দোলনের ধরণ বুঝাবার জন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের মূল ইস্যু হচ্ছে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা।

অতএব,যতদিন বাংলার জমিনে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।উদ্দেশ্য: দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি লাভের জন্য আল্লা

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।