1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
ঝিকরগাছায় বিএনপির ওয়ার্ড সমাবেশ অনুষ্ঠিত বড়দিনের ছুটি থাকাই বেনাপোলে আমদানি রপ্তানি বন্ধ শার্শায় যুবলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী উজ্জল অস্ত্র সহ আটক নগরীর কাষ্টমঘাটে সৈকত নামে যুবক গুলিবিদ্ধ ১ লা জানুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, চলবে না যেসব ফোনে মহানগর ডিবি পুলিশের অভিযানে একাধিক মামলার আসামী জাকিরসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে নারী ও পুরুষদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকা অর্জন করতে হয় বাগেরহাটে জ্যাকেট কিনে রয়েল এনফিল্ড পেলেন ব্যবসায়ী ফরিদ কেশবপুরে সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন খুলনায় ফের চালু হয়েছে র‌্যাফেল ড্র নামের জুয়ার টিকিট বিক্রি তেরখাদায় ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারাগারে লোহাগড়ায় টিসিবি পন্য বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাইকগাছায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর আগমণ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় খুলনার দৌলতপুর থেকে তামিম নামে রিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ খুলনাবাসীর বহু প্রতীক্ষিত নতুন ট্রেন খুলনা-ঢাকা রুটে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস এর যাত্রা শুরু বাগেরহাটে জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের দাবিতে নৌ র‌্যালী খুমেক উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ১২ দফা দাবি পেশ এনডিএফ পাইকগাছায় আমীরে জামায়াতের ডাঃ শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত

কেশবপুরের ভরত-ভায়না বিলে ধান নষ্ট করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ২০৯ বার শেয়ার হয়েছে

পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোর || থোড়মূখী ধানের জমির ফসল নষ্টকরে কাঁচা রাস্তা নির্মান করায় কৃষকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সীমানা নির্ধারন করা হলেও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়,কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরত-ভায়না বিলের সারুটিয়া গ্রামের জেলে পাড়া হতে সন্ন্যাসগাছা বিলকান্দা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার বিলের ভিতর দিয়ে কাঁচা রাস্তা নির্মান কাজ চলছে। কোন কোন কৃষক রাস্তার সীমানা থেকে গরুর খাবার হিসাবে থোড়মূখী ধান কেটে নিয়েছেন। সারুটিয়া গ্রামের ইসলাম মিস্ত্রি, তপন ও বিধানের সম্পূর্ণ জমির উপর দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে যেখানে ধানের বাইল বের হচ্ছে।
জীবন সরকার জানান, রাস্তা হলে আমাদের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না। এই রাস্তা একদিন বিশেষ প্রয়োজন হবে। জমির ধান সহজে বহন করে নিয়ে যেতে পারবে, শ্রমিকরা রোজগারের সুযোগ পাবে।

সারুটিয়া গ্রামের জমির মালিক আবুল হোসেন মোল্যা জানান, এ রাস্তাটি আদৌ প্রয়োজন না। ১৯৮৫ সাল থেকে এ রাস্তাটি দিয়ে সারুটিয়া, ভেরচী, সন্যাসগাছা, গ্রামের জনগণ যাতায়াত করতো। ১৯৯৬ সালে ওয়াপদা কেটে দেওয়ার পর পানির তোড়ে চলাচলের পথ বিলিন হয়ে যায়। ১৯৯২ সালের জরিপে সারুটিয়া মৌজায় বিলের ভিতরে ২০ ফুট চওড়া রাস্তার নক্সা হয়। জমিতে আবাদ করার স্বার্থে বাইরের পানির চাপ ঠেকাতে জমির মালিকরা একটি বেড়িবাঁধ দেন। সারুটিয়া,ভেরচী ও সন্যাসগাছা মৌজা দিয়ে নতুন যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে চেয়ারম্যান সাহেব কৃষকদের ডেকে আলোচনা করেন। এরপর কয়েকদিন ধরে রেকর্ডিও রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করার পরও জমির মালিকদের সীমানা ভেড়ি কেটে অধিকাংশ রাস্তা বানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। রাস্তার দু’পাশ থেকে ১০ ফুট করে মালিকানা জমি কাটা পড়ছে।

ভেরচী গ্রামের নুরজ্জামান মোড়ল জানান, চারিদিকে রাস্তা হওয়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে, এই রাস্তা তেমন প্রয়োজন ছিল না। অনেক মালিকানা জায়গা দিয়ে রাস্তা হওয়ায় কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে। ভরা মোসুমে কৃষকের ক্ষতি হবে জেনেও রাস্তা করা হচ্ছে।

সারুটিয়া গ্রামের আবু তালেব জানান, চেয়ারম্যান সাহেব জমির মালিকদের ডেকে রাস্তা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সীমানা নির্ধারনের সময় আমি ছিলাম। কিন্ত বেশ কিছু জায়গায় মালিকানা জমি কেটে রাস্তা করা ছাড়াও থোড়মূখী ধান মারা যাচ্ছে ফলে কৃষকের দারুন ক্ষতি হচ্ছে। ধান ঘরে উঠার পর রাস্তা করলে ভাল হতো।
মফিজ সরদার, আজিজুর সরদার, লিটন সরদার, ইসলাম তারা অভিযোগ করে জানান, সরকারি ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তা নির্মান হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবী, ফললের ক্ষতি না করে ফসল ঘরে উঠার পর নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী রাস্তা নির্মান করা হোক।

তারা জানান,কৃষকের বিলে ক্ষেতভরা ধান থোড় মুখি, আর মাত্র মাস খানেক পরে ধান কাটা যেত। কিন্ত এ সব কথা উপেক্ষা করে ধানের ক্ষতিকরে রাস্তা নির্মান কাজ অব্যাহত রয়েছে। চলমান কাজ বন্ধ রেখে কৃষকের সোনালী ফসল ধান কাটার পর সীমানা অনুযায়ী রাস্তা নির্মান করলে এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ক্ষতিপূরণ দিলে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম হাবিবুর রহমান হাবিব মুঠো ফোনে জানান,আমি রাস্তা নির্মানের জন্যে কৃষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছি এবং রাস্তার সীমানা বরাবর ধান না লাগানোর কথা বলেছি। তাছাড়া প্রজেক্টের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। রাস্তা করতে হলে পাশের জমি থেকে মাটি কাটার প্রয়োজন হয়। সে কারণে রাস্তা নির্মানের স্বার্থে তাদের একটু ক্ষতি মেনে নিতে হবে।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।