হুমায়ন কবির,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি || কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে ড্রাগন ফলের চাষ। এই ফলের চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন চাষিরা। এরই মধ্যে কোনও কোনও চাষি ড্রাগন চাষে ক্ষতিকর টনিক ব্যবহার করছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বহু গুণে গুণান্বিত পুষ্টিকর ড্রাগন ফলের গাছ ক্যাকটাস জাতীয়, লতানো। তাই এই গাছ খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হয়। একটি খুঁটিতে চার থেকে পাঁচটি ড্রাগন চারা দেওয়া যায়। এই ফল চাষে ক্ষতিকর টনিক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। কারণ ক্ষতিকর টনিক ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, চাষ পদ্ধতি সহজ, বেশি সময় ধরে ফল পাওয়া এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় জেলায় দিন দিন বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত মৌসুমে জেলায় ৮৬২ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ১৯ হাজার ২২১ মেট্রিক টন। হেক্টর প্রতি ফলন ছিল ২২ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন। এর আগের মৌসুমে ২৫১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এক হাজারের বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। চাষে জড়িত কয়েক হাজার কৃষক। এরই মধ্যে গাছে ফুল এসেছে। আগামী ২৫-৩০ দিনের মধ্যে বাজারে উঠবে ফল।
ড্রাগন ফল চাষিরা জানান,কোনও কোনও চাষি অধিক মুনাফার আশায় ড্রাগন টনিক ব্যবহার করছেন। এতে ফলের আকার ও ওজন বেড়ে যায়, রঙ পরিবর্তন হয়। প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের রঙ লাল হলেও টনিক ব্যবহৃত ফল লাল-সবুজ হয়। টনিক ব্যবহৃত ফলে স্বাভাবিক স্বাদ থাকে না।
এবিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আজগর আলী বলেন, ‘আমরা চাষিদের টনিক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছি। এরপরও যদি তারা টনিক ব্যবহার বন্ধ না করেন তাহলে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।