মোঃ ফয়সাল হোসেন,কয়রা প্রতিনিধি || খুলনার কয়রায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।উপকূল এলাকার চারপাশে লবণপানি,বেড়ীবাধের মধ্যে মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি করে কয়রা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজ চাষে সফল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় এ বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২শ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। কয়রায় ৭টি ইউনিয়ন এর মধ্যে ৩ টি ইউনিয়নে কম বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে। উপকূরের লবণ পানির এলাকা কয়রা উপজেলা ।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। কেউ ক্ষেত হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা পাইকারি বাজারে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।
কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এর মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন এ ৭শ হেক্টর ও অন্য অন্য ইউনিয়নে ১০ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ তরমুজ খেত বিক্রি হয়ে গেছে। ৬০ শতাংশ তরমুজ কৃষকের খেতে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান,বিগত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। তবে অনাবৃস্টির কারণে পানি দিতে অধিক টাকা খরচ হয়েছে।
বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রতি বিঘা তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছে কৃষকেরা।
এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসিম কুমার দাস জানান,এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে।তবে মিষ্টি পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষের সমস্যা হয়েছে। এসব এলাকায় খাল খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে তরমুজের চাষ আরও বাড়ানো যেত। প্রথমদিকে রমজানের কারণে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাজারে তরমুজের দাম সন্তোষজনক। ইতিমধ্যে উপজেলায় ৪০ ভাগ তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় আগামীতে তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।