তেরখাদা প্রতিনিধি || তেরখাদা উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তেরখাদায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।বাল্যবিবাহ সম্পাদনের দায়ে এ পর্যন্ত জেল জরিমানার আওতায় এসেছে অগণিত মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান তেরখাদায় যোগদানের পর বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে এবং বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে তেরখাদাবাসীকে মুক্তি দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক,নিকাহ রেজিস্টার,সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি,বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকদের সাথে কয়েক দফা মত বিনিময় করেন।প্রত্যেকটি সভায় তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
এরপরও তেরখাদায় বাল্যবিবাহ বন্ধ না হওয়ায় তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তেরখাদা সদর ও প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ শুরু করেন।
সূত্রে জানা যায়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বিভিন্ন এলাকার সোর্স নিয়োগসহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন।বাল্যবিবাহ সংঘটিত হওয়ার খবর শুনলেই তিনি মুহূর্তের মধ্যে ছুটে চলছেন দ্বিগ্বিদিক।
রাত আর দিন,সকাল আর বিকেল,সন্ধ্যা রাত,আর গভীর রাত বলে কিছু মনে না করেই তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অবিরাম পথ চলছেন দীর্ঘ প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে।
বাল্যবিবাহ রোধ করে জনাব আসাদুজ্জামান অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান এর আগে বাল্যবিবাহের সুফল ও কুফল সম্পর্কে সকলকে অবহিত করণসহ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা সম্পর্কেও তুলে ধরেন।
সাধারণ জনগণ সহজ পথ অবলম্বন না করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান আইনের যথাযথ প্রয়োগ শুরু করেন।
বাল্যবিবাহ সংঘটিত করাসহ বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ পর্যন্ত তিনি অনেক কেই আইনের আওতায় এনেছেন।
সূত্র জানায়,আইন অমান্য করায় এ পর্যন্ত তিনি প্রায় শতাধিক লোককে বিভিন্ন মেয়াদের জেল জরিমানা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামানের নিরলস পরিশ্রমের কারণে এখন বাল্যবিবাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে তেরখাদার সাধারণ মানুষ।
অবশ্য প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যে দুই একটি বাল্যবিবাহ সংঘটিত হচ্ছে। সেটি খুবই সতর্কতার সাথে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক নিকাহ রেজিস্ট্রার জানান, নিকাহ রেজিট্রারদের মধ্যে দুই একজন আছে তারা মূল বহিতে না তুলে অতি গোপনে টাকার চুক্তিতে বাল্যবিবাহ সম্পাদন করছে।বয়স পূর্ণ হলে তারা মূল বহিতে তুলে থাকেন বলেও জানা গেছে।সরকারি আইন উপেক্ষা করে দু’একজন পয়সার লোভে বছরের পর বছর ধরে আইন লঙ্ঘন করে চলেছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন,অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে দুই একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।এলাকার সুধীজন জানান,যেখানে সরকার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছেন, সেখানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই অসাধু দুই একজন নিকাহ রেজিষ্ট্রার।
এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং তেরখাদাকে একটি সুশৃংখল উপজেলায় রূপান্তরিত করতে তিনি সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন,বাল্যবিবাহ সম্পাদন করলে নিকাহ রেজিষ্ট্রারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি তেরখাদা উপজেলাকে একটি উন্নয়ন ও উৎপাদনমূখী উপজেলায় রূপ দেয়ার জন্য নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।