সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি// লক্ষ্মীপুর রায়পুর ২ আসনের এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের সহযোগী মনির গ্রেফতার মানবপাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে ৩৮কোটি ২২লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর রায়পুরের সাবেক এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের অন্যতম সহযোগী সাদিকুর রহমান মনিরকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মালিবাগ সিআইডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম) হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, গ্রেফতার সাদিকুর রহমান মনিরের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে রাজধানীর রাজারবাগ রূপালী ব্যাংকের শাখায় ৩৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। বুধবার (২ মার্চ) রাতে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মনিরের হিসাব থেকে আরও ছয়জনের হিসাবে এসব টাকা বিভিন্ন সময় পাঠানো হয়। সাবেক এমপি পাপুলের হিসাবেও মনিরের হিসাব থেকে টাকা পাঠানো হয়। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য স্বীকার করেছেন। মানবপাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে এসব টাকা তার হিসাবে জমা হয়। পাপুলের নির্দেশে এসব টাকা তার হিসাবে জমা পড়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে দেওয়া হয়। হুমায়ুন কবির আরও বলেন, কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সিআইডির পক্ষ থেকে কথা বলা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। চেষ্টা করছি, মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। আমাদের কাছে যতগুলো হিসাব সম্পর্কিত তথ্য এসেছে সেগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে। কিন্তু এর আগেই তারা সেসব হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়েছিল। ওই হিসাবগুলো থেকে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতার মনির যেসব তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো ও অন্যান্য তথ্য আমরা পর্যালোচনা করছি।
কতজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে— জানতে চাইলে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। অনেকেই অনেকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যা বলা সম্ভব হচ্ছে না, কতজন ভুক্তভোগী। আমরা অনেক ভুক্তভোগী পেয়েছি। তবে পাপলুর দেশে কী ধরনের সম্পদ রয়েছে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য আমরা হাতে পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই হিসাব ছাড়াও আরও ৫৩টি হিসাবের সন্ধান আমরা পেয়েছি। সেগুলোর বিষয়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রেখেছি। ২০২০ইং সালের ডিসেম্বরে কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করে সিআইডি। মানবপাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে ৩৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলার এক নম্বর আসামি সাবেক এমপি কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল দেশের বাইরে কারাগারে রয়েছেন। মামলায় মানবপাচারকারী চক্রের যার সহায়তায় তিনি এই টাকাগুলো ট্রান্সফার করেছেন সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। পাপুলের কী ধরনের সম্পত্তি কুয়েতে রয়েছে সে বিষয়ে জানতে আমরা সে দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।