সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি//লক্ষ্মীপুরে তহশিলদার মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে চাহিদা মতো ঘুষ না দেওয়ায় আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। ইসমাইল সদর উপজেলার ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের কামানখোলা এলাকার প্রবাসী ইসমাইল হোসেনে স্ত্রী লাকি বেগম এই অভিযোগ করেন। তিনি বুধবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, প্রায় ৪০ বছর আগে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে লাকির স্বামী ইসমাইল ও শ্বশুর সাড়ে ৯ শতাংশ জমি কেনে। সেখানে একটি টিনের ঘর করে তারা বসবাস করে আসছেন। পুরনো ঘরটি ঝরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় তারা পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে লাকির চাচা শ্বশুর সৈয়দ আহমদ জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত ইউনিয়ন তহশিলদারকে দায়িত্ব দেন। তহশিলদার ইসমাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাকির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। নিরুপায় হয়ে লাকি তাকে ২০বিশ হাজার টাকা দেয়। বাকি টাকা না দেওয়ায় সৈয়দ আহম্মদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন করা হয়। ক্রয়কৃত মালিক ও দখলে থাকা সত্ত্বেও তহশিলদার ঘুষের জন্য লাকিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করে।
অভিযোগকারী লাকি বেগম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে দেওয়ার কথা বলে তহশিলদার ইসমাইল ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। পরে নিরুপায় হয়ে ২০বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। দাবিকৃত পুরো টাকা না পেয়ে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন।
এই ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বলেন, অভিযোগটি এখনো আমি হাতে পাইনি। অভিযোগটি পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।