খুলনার খবর || দেখতে যষ্টি বা কাঠের লাঠির মতো, কিন্তু স্বাদে মিষ্টি ৷ এটাই হলো যষ্টিমধু ৷ ইংরেজিতে যাকে বলা হয়, ‘লিকোরাইস’ ৷ ওষধিগুণের জন্য এই ভেষজ অতুলনীয় ৷
গ্লাইসাইররিজ গ্লাবরা’ বৈজ্ঞানিক নামের গাছের শিকড়ই ব্যবহৃত হয় যষ্টিমধু নামে৷ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে এর ব্যবহার প্রচলিত ৷
বছরভরই ব্যবহার করা যায় যষ্টিমধু৷ তবে বর্ষায় শারীরিক অসুস্থতায় অত্যন্ত কার্যকর এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ৷ মৃদু সর্দিকাশি হলে বা শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে যষ্টিমধু অসাধারণ কার্যকর ৷ ঋতু পরিবর্তনের সময়ে যষ্টিমধু সেবনের উপদেশ দেওয়া হয় ৷ ভাইরাস থেকে হওয়া জ্বর উপশমেও উপকারী এই ভেষজ ৷
যষ্টিমধু বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও ৷ রোজ সকালে এক কাপ জলে এক চামচ শুকনো ষ্টিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে, মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে তার পর ছেঁকে নিয়ে পান করুন ৷ যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তারা এই পানীয় সেবনে উপকৃত হবেন মওসুম পরিবর্তনের সময়ে৷
হাঁপানি রোগের চিকিৎসাতেও যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়৷ কাশি ও গলাব্যথার মতো সমস্যায় মধু সহযোগে যষ্টিমধু সেবনের কথা বলা হয়৷
যাঁদের কণ্ঠস্বরের ব্যবহার বেশি,অর্থাৎ যাঁরা বাচিকশিল্পী,তাঁরা মাঝে মাঝে মুখে রাখতে পারেন যষ্টিমধুর টুকরো ৷ এতে কণ্ঠস্বর পরিষ্কার ও স্পষ্ট থাকে।হাইপার অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় জলের সঙ্গে যষ্টিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷
অনেকে প্রায়ই ভোগেন মুখের ভিতরের আলসারে৷বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে এই অসুখের প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়৷সেক্ষেত্রেও উপশম এনে দেবে যষ্টিমধু।ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণেও ব্যবহার করা যায় যষ্টিমধুর প্রলেপ৷দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধেও যষ্টিমধুর উপকারিতা আছে ৷
তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও যষ্টিমধু থেকে দূরে থাকতে হবে ৷ যে সব মায়েরা সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন তাঁরা দিনে খুব পরিমিত হারে এটি খেতে পারেন ৷তবে যেকোন চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।