কামরুজ্জামান শিমুল, বাগেরহাট || হযরত খানজাহান আলীর অনুসারী ছিলেন জিন্দাপীর। আর এই জিন্দাপীরের মাজারের পাশেই রয়েছে বিশ্বের ২৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে জায়গা করে নেওয়া জিন্দাপীর মসজিদ।
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে দেড় কিলোমিটার এবং খান জাহান আলীর মাজার থেকে কোয়াটার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জিন্দাপীরের মসজিদ ও মাজার। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এই পুরা কীর্তি।
গত কয়েক বছর ধরে জিন্দাপীর মসজিদ সংস্কার হয়ে এখন মোটামুটি ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় হচ্ছে এবং মসজিদেই কোমলমতি শিশুরা আরবি শিক্ষা গ্রহণ করছে। তবে জিন্দা পীরের মাজারটি রয়েছে অবহেলায়।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জিন্দাপীরের মাজারের উপরে ছাদ থাকলেও খুলে যাচ্ছে পলেস্তর। বৃষ্টিতে মাজারের চারপাশেই পানি জমে গেছে। প্রাচীন আমল থেকে সংরক্ষিত হওয়া চুন সুরকি ও ইটের মিশ্রণে তৈরি ওয়ালগুলো খুলে খুলে পড়ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান,কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় জিন্দাপীরের মাজারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রাচীনকালে নির্মিত ওয়াল গুলি খুলে পড়ছে। এত বছরেও এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এর কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর। বহুবার বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের জানালেও এই মাজারটি সংরক্ষণে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোঃ জায়েদ অবশ্য রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মসজিদের শহর বাগেরহাট, আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরাকীর্তিগুলো রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর কিছু বাজেট থাকে সেই বাজেট থেকেই বাগেরহাটে পুরা কীর্তি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বাজেট আসলেই আমরা রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ শুরু করব।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।