রায়হান শরীফ সাব্বির, ঢাকা || প্রধানমন্ত্রী বলেন,২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ ও আমাদের মহাজোটকে ভোট দিল। বিএনপি কয়টি ভোট পেয়েছিল তখন? কয়টি সিট পেয়েছিল? ৩০০ সিটের মধ্যে বিএনপির ২০ দলীয় জোট ২৯টি পরে আরেকটি মিলিয়ে মোট ৩০টি সিট পেয়েছিল। একটা কথা জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে। আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী যে যেখানে আছেন তা জনগণকে মনে করে দেবেন। ওরা ভোট করতে আসে না, ভোট চায় না,ভোট পায় না। এরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন এরা সহ্য করতে পারে না।
গতকাল শুক্রবার (১সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন এরা লুটেরাজ,জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস। তারা মানুষের শান্তি ও সম্পদ কেড়ে নেয়। মানুষের ঘর কেড়ে নিয়ে পুকুর কাটে,আবার কলা গাছও লাগায় সেটিও আমরা দেখেছি। বিএনপি সন্ত্রাসী-জঙ্গিতে বিশ্বাসী। এরা মানুষের কল্যাণ করতে পারে না।
তিনি বলেন,প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা (বিএনপি) হেয়প্রতিপন্ন করে,নির্বাচনে তো তাদের আসার কথা না, তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলতে চায়। কারণ তাদের জন্ম হয়েছে অবৈধ ক্ষমতার দখলকারীর হাতে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এখন তারা নাকি আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। তাদের জন্ম মিলিটারি ডিরেক্টরের হাতে, মার্শাল ল’য়ের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করেছে, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা এদেশের কোনোদিন কল্যাণ চাইতে পারে না। তারা এই দেশকে ধ্বংস করতে চায়। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এ দেশে মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটে। ড. ইউনুসকে নিয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলা শিষ্টাচার বহির্ভূত।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্র সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।