খুলনার খবর || দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১১ নভেম্বর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় আসছেন। খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ভাষণ দিবেন। খুলনা বিভাগের দশ জেলাসহ আরো বেশকয়েকটি জেলার দলীয় নেতা-কর্মীরা জনসভায় উপস্থিত হবেন।
দলীয় প্রধানের আগমন উপলক্ষে খুলনা মহানগর সেজেছে নতুন রুপে।পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। সরব হয়ে উঠেছে দলীয় কার্যালয়।
খুলনায় শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র তদারকি ও নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে জনসভা সফলের সকল কর্মকান্ড। দলের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে শুরু হবে গণজাগরণ। টার্গেট নেওয়া হয়েছে জনসভায় উপস্থিত থাকবে দশ লক্ষ নেতা-কর্মী।তৈরি করা হবে নৌকার আদলে মঞ্চ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জনসভা পরিণত হবে জনসমুদ্রে। খুলনায় এ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আগমনে যতগুলো জনসভা হয়েছে এটি হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা। এমনটাই ভাবছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
জনসভা সফল করতে এরই মধ্যে সাংগঠনিক ব্যাপক তৎপরতা চোখে পড়ছে। নগরী ও জেলার প্রক্যেকটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভায় চলছে প্রচার-প্রচারণা। এদিকে নগর ও জেলা জুড়ে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার, প্লাকার্ড, ফেস্টুন, রঙিন পোস্টার ও প্যানা। গোটা নগরী ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মোড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল জায়গা জুড়ে গেট। এসব গেটে শোভা পাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সোহেল উদ্দিন, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত তোরণ।শোভা পাচ্ছে দলীয় প্রতীক নৌকার ছবিও।
সর্বশেষ খুলনা সার্কিট হাউজে জনসভা সফল করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভায় এসেছিলেন। এর আগে ব্যক্তিগত সফরে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি খুলনা সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় তার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে ক্রয়কৃত পাটের গোডাউন পরিদর্শন করেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘খুলনা সার্কিট হাউজের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করতে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে তোড়জোড় গতিতে চলছে প্রচার-প্রচারণা।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুরর রশীদ বলেছেন, ‘এগারো নভেম্বর সার্কিট হাউজ মাঠে খুলনার জনসভা হবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেছেন, নগরী ও জেলা জুড়ে রঙিন ব্যানার টাঙানো ও পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় বিশেষ বর্ধিত সভা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। আগামী ১১ নভেম্বর খুলনার সার্কিট হাইজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন খুলনা-মোংলা রেল লাইনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।