1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস বোস কারাগারে শার্শায় বিএনপির বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত শার্শায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মত বিনিময় ও আলোচনা লক্ষ্মীপুরে সাব রেজিস্ট্রার ঝাড়ুদার কাম-নৈশ প্রহরী সোহেলকে সাময়িক বরখাস্ত কেশবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআন ধরানো ও কমিটির পরিচিতি সভা খুলনায় সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাস্তা সংকুচিত, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ খুলনায় ডিফেন্স এক্স-সোলজার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন পাইকগাছায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে কেশবপুরে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁ মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত খুলনা আদালতের জেলা পিপি এড.তুষার, জিপি এড. জাকির ইউসেফ আন্ত:স্কুলের বার্ষিক ফুটবল টুর্নামেন্ট লোহাগড়ায় শিশু শাহিন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নড়াইলে অতিরিক্ত মদ্যপানে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ ৬ দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন। সংসদ নির্বাচনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে জাকের পার্টি অংশ নেবে বাগেরহাটে ৩২ নারী উদ্যোক্তা পেলেন ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার ঋন শ্যামনগর বাল্যবিবাহ ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে পিতামাতাদের সাথে সংলাপ পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাগেরহাটে গ্রীষ্মের বিদায় এসেছে শীত,রস সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছে গাছিরা

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২০১ বার শেয়ার হয়েছে
A-tree-is-collecting-sap-from-a-date-palm-tree-in-a-flower-shop

অতনু চৌধুরী রাজু বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি || গ্রীস্মের বিদায় জানিয়ে শীত এসেছে।শুরু হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ তোলার কাজ।সারা দেশের ন্যায় তাই যেন দক্ষিণ জনপদের বাগেরহাট জেলার প্রতিটিটা এলাকার গাছিরাও বসে নেই,তারা প্রতিটি মুহূর্ত রস সংগ্রহের কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাগেরহাট জেলার প্রতিটিটা এলাকায় বর্তমানে মাছে সমৃদ্ধশালী।ফসলী জমির সিংহভাগ এখন মাছ চাষীদের দখলে।এক সময় এলাকায় লক্ষ – লক্ষ খেজুর গাছ থাকলেও আজ তার সংখ্যা অনেকটা কম,তার পরেও যে একেবারে কম তা ঠিক নয়।যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলোর পরিচর্যা করতেই যেন হিমশিম খাচ্ছেন গাছিরা।যারা গাছ কাটে তাদের বলা হয় গাছি।খেজুর গাছের অগ্রভাগের একটি নির্দিষ্ট অংশ চিরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট কলসি (ভাড়/ঠিলে) বাঁধা হয়।ফোঁটায় ফোঁটায় রসে পূর্ণ হয় সে কলসি।তাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে গাছ তোলা কাটাসহ বিভিন্ন রকমের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা।ছোট বড় বিভিন্ন রকমের খেজুর গাছে অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়েই তোলা কাটা করতে হয়। কোমরে মোটা রশি বেঁধে গাছে ঝুলে গাছ তোলার কাজ করতে হয়।খেজুর গাছের চাহিদাটা ইট ভাটায় বেশী ও ফসলী জমির একটা মোটাংশ লীজ ঘের হওয়ায় বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা অনেকাংশে কম।তাই যেন খেজুর গাছে বিলুপ্তির সুর বাজছে। তাই আগের মতো মাঠও নেই,নেই সারি – সারি এই খেজুর গাছও। তারপরও গ্রামের মাঠে আর গ্রাম্য মেঠো পথের ধারে কতক গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে।অনুসন্ধানে দেখা যায়,আমাদের গ্রাম বাংলায় অতীতে খেজুর রসের যে সুখ্যাতি ছিল তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।খেজুরের রস শীতের সকালে বসে মুড়ি মিশিয়ে গ্লাস ভরে খেতে বেশ মজা লাগে।সন্ধ্যা রস আরো মজাদার।বেশ লোভণীয় নলেন পাটালি ও গুড়।খেজুর গুড় বাঙালীর সংস্কৃতির একটা অঙ্গ।ক’দিন পরেই প্রতিটি ঘরে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা পুলি পায়েস তৈরীর ধূম পড়বে।ঢেঁকি ঘরে চাল কুটার ধুম পড়ে যাবে,শোনা যাবে ঢেকির ঢক ঢক শব্দ।মুড়ি,চিড়া, পিঠা খাওয়া কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সবার বাছে বেশ প্রিয়।এসব আশা নিয়ে শীত মৌসুমে গাছ কাটার কাজে গাছিদের বেশ ব্যস্ত সময় পার হয়।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার গাছির সারা বছরের রুজিরুটির নির্ভর করে এ পেশার উপর।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের দওেরমেঠ এলাকার গাছি অশোক মন্ডল খুলনার খবর’কে বলেন, শীত আসা মাত্রই আমরা খেজুর গাছ ছিলানোর জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেগেই আছি।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলার ফুলপুকুর এলাকার গাছি প্ররিমল মন্ডল খুলনার খবর’কে বলেন,আমরা পাঁচ মাস খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে বেশ আর্থিক সচ্ছলতা আসে আমাদের।খেজুর গাছ তোলার মৌসুম এলে তাদের মুখে ফুটে ওঠে হাসি। নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বিক্রি করে যে অর্থ পায় তা দিয়ে চলে পুরো বছর। এখনো শীত জেঁকে না বসলেও গাছিরা গাছ কাটার জন্য দা তৈরী, ঠুঙি,দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়/ঠিলে) কেনার কাজ সেরে নিচ্ছেন।আগের মতো খেজুর গাছ আর নেই।এরপরও গাছিরা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।