পাইকগাছা প্রতিনিধি || বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাওয়ার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিয়ের আসর থেকে বর চলে যাওয়ার ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে কনে মিতু মন্ডল (১৯) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে মৃত্যুর প্ররোচনা দেওয়ায় মামলা করেছেন কনের বাবা।এঘটনায় বরের বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল ও বর সুদিপ্ত মণ্ডলের নামে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) মারা যাওয়া তরুণীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পাইকগাছা থানা পুলিশ।কনে মিতুর বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামে।
মৃত মিতু মণ্ডলের বাবা ঠাকুরদাশ মণ্ডল বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে বটিয়াঘাটা উপজেলার কায়ুমখালীর কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে সুদিপ্ত মণ্ডলের (২২) গত সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ছেলে পক্ষ আমাদের বাড়িতে সঠিক সময় না আসায় লগ্ন পেরিয়ে যায়। পরের লগ্নে বিয়ে দিতে চাইলে ছেলের বাবা রাজি হননি। পরে ছেলের বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে বিয়ের আসর থেকে চলে যায়। এরপরই মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।এঘটনার পর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে মিতু।প্রাথমিকভাবে পাইকগাছা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে মারা যায়।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,শুক্রবার গলায় ফাঁস দিয়ে মিতু আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশ সুরতহাল শেষে আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় শনিবার বরের বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল ও বর সুদিপ্ত মণ্ডলের নামে থানায় মামলা করেছেন মেয়ের বাবা।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।