স্টাফ রিপোর্টার || খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পুকুর থেকে একটি চক্র দিনে দুপুরে টিকিট দিয়ে ছিপ ফেলে মাছ শিকার করেছে। এতে করে কেসিসি বড় ধরনের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। নগরীর ১৬নং ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন কেসিসির পুকুরে গত শুক্রবার ১৫টি দল ছিপ ফেলে মাছ ধরেছে।
১৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাস বলেন, তার সময়ে এ পুকুরটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এখানে এলাকাবাসী ও খুমেক হাসপাতালের রোগীদের স্বজনরা গোসল করতো। যার জন্য এখানে মাছ চাষের অনুমতি কেসিসি দেয়নি। নতুন কাউন্সিলর ক্ষমতা গ্রহণের পর সালাম নামের এক ব্যক্তি ওই পুকুরে টিকিট মাছ শিকারের জন্য ছিপ ফেলেছে। গত শুক্রবার ১৫টি দল টিকিটি কেটে এ মাছ শিকারে অংশ নেয়। প্রতিটি দলের বিপরীতে পাঁচ হাজার টাকা করে আদায় করে ওই ব্যক্তি। দল প্রতি চারটি করে বরশি ফেলে পুকুরে। এছাড়া ওই ব্যক্তি গত মাসেও আরেকবার টিকিট দিয়ে ছিপ ফেলে। বিষয়টি কেসিসি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার ব্যাপার থাকলেও তা নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বর্তমান কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। সালাম এ বিষয়টি জানে। সে সব কিছু করছে।
কেসিসির এষ্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। যেহেতু কেসিসি এ পুকুরে কোন মাছ ছাড়েনি। তাই মাছ থাকার কথা নয়। তবে ভবিষ্যতে কেসিসির পক্ষ থেকে এ পুকুরে মাছ ছাড়া হবে। তখন আর অনুমতি ছাড়া কেউ মাছ ধরতে পারবে না বলে তিনি জানান।
আঃ সালাম তিনি বলেন, এলাকাবাসী মাছ ধরেছে। টাকা নেয়ার বিষয়টি ঠিক না। আর এ পুকুরটি ভবিস্যতে থাকবে না। বড় ধরনের প্রকল্প পাশ হয়েছে। এখানে সুমিং পুলসহ বড় ধরনের ভবন করা হবে। তাই এলাকার সব ভাই বেরাদার মিলে মাছ ধরা হয়েছে। টিকিট দেয়ার কথা ঠিক নয়। ভবিষ্যতে আর মাছ ধরা হবে না বলে জানান।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।