খুলনার খবর || চুয়াডাঙ্গায় হাফিজা খাতুন হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পরকীয়া সন্দেহ স্ত্রীকে হত্যা করেন নিহতের স্বামী কবির হোসেন (৩৮)। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে অভিযুক্ত কবির চুয়াডাঙ্গা জীবননগর আমলী আদালতে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ হত্যার দায় স্বীকার করেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত কবির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত কবির হোসেন জানান,স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক আছে সন্দেহ থেকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু দিন ধরে স্ত্রী তার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।গ্রেফতার কবির হোসেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের জাকের আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে কবির হোসেন জীবননগরে মা নার্সিং হোম এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করতে যান। সে সময় জীবননগর উপজেলার সমসের হোসেনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে হাফিজা খাতুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর উভয়ের প্রেম হয়। হাফিজা ও কবির দুই বছর আগে বিয়েও করেন।
বেশ কয়েক মাস ধরে উভয়ের মধ্য কলহ চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে কবির হোসেন ক্লিনিকে আসেন। পরে উভয়ের মধ্য ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে কবির হোসেন ক্লিনিক থেকে চলে যান। আবারও রাতে ক্লিনিকের দোতলায় উঠে হাফিজা খাতুনকে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে পুলিশ হত্যার কয়েক ঘণ্টার মাথায় পালিয়ে যাওয়ার সময় জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন কবির হোসেন। পরে নিহতের বাবা সমসের হোসেনের দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। রোববার বিকালে তাকে জীবননগর আমলী আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জীবননগর আমলী আদালতে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুনের আদালতে অভিযুক্ত ১৬ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। সন্ধ্যায় তাকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।