সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মিছিল করার সময় সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আ.লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে উভয় দলের ২২জন নেতাকর্মী আহত ও উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ২দুই জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,শনিবার সকালে রামগতি উপজেলাতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনার ফুল দিয়ে মিছিল সহ উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে আসছিলেন। মিছিলটি আলেকজান্ডার জনতা ব্যাংকের সামনে আসলে সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিলে
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় । দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২২জন নেতাকর্মী আহত হন।এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২জন ও বিএনপির ১০জন নেতাকর্মী আহত হন। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২জনের মধ্যে ৪চার জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকী নেতাকর্মীদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানায়, ২দুই দলের সংঘর্ষে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আহতরা হলেন উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহ মোহাম্মদ রাকিব,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সুখি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মিরাজ,রহিম,লিটন আরিফ ও সাব্বির সহ ১২জন নেতাকর্মী। এর মধ্যে মিরাজ, সাব্বির,লিটন ও আরিফ কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিএনপি ১০জন নেতাকর্মীকে আহত হয়েছে বলে দাবী করলেও তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে রাজি নয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন ও পৌর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি কাউন্সিলর দিদার হোসেন খন্দকারকে আটক করে পুলিশ। রামগতি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দীন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মিছিল নিয়ে ফিরছিলাম। পথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে পেছন দিক থেকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০দশ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন। এতে আমাদের লোকজন শান্তি পূর্ণ স্লোগান দিতে অনুরোধ করলে তারা আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ১২বার জন নেতাকর্নী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মিছিল ও শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ- বাংলাদেশ জাতীয়বাদী বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।