মোঃ রফিকুল ইসলাম, বেনাপোল|| তাপদাহে পুড়ছে দেশ সারাদেশের ন্যায় যশোরেও মারাত্মক আকার তাপমাত্রা জেকে বসেছে। গত কয়েকদিনে যশোরে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরবাসী উপভোগ করছে।
তীব্র তাপদহে জ্বলছে শার্শা উপজেলা সহ যশোর জেলার সবকটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল।তাপ ও ভ্যাপসা গরমে নাকাল এলাকাবাসী।সকালে সূর্যদয়ের সাথে ঠাণ্ডা রোদ উঠলেও. বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের ঝাঝ ও তাপ তত বাড়ছে।
তাপমাত্রার এই রোদে বিশেষ করে দুপুরে কেউ আর ঘরে থাকতে পারছে না। ঘরে ইলেকট্রিক ফ্যান থাকলেও বাতাসে অত্যান্ত তাপ বিরাজ করছে. ফলে ঘরের ফ্যানের চাইতে খোলা আকাশের নিচে প্রাকৃতিক বাতাসের আশায় ফাকা জায়গাই গাছ তলায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
এই অস্বাভাবিক গরমে একটু স্বস্তির প্রাকৃতিক বাতাসেও প্রচন্ড গরম তাপের সংমিশ্রণে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে স্বাভাবিক জীবন যাপন।
অস্বাভাবিক তাপদহে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্থিরতা, কর্মজীবনে ও ব্যবসা বানিজ্যে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ক্রেতা শূন্য আশানুরুপ বেচাকেনা না হওয়ায় সব অলস সময় কাটাচ্ছেন।জেলা শহর,উপজেলার সদর বড়. বড় বাজার সহ গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে দেখা গেছে জনমানবহীন মরুভূমী।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,ছোট খাটো সহ বড়, বড় মার্কেট, শপিং মল ক্রেতাশূন্য, এমনকি দোকানপাট,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে অনেকে।
বেনাপোল – যশোর মহাসড়ক ফাকা ও বিভিন্ন সড়কে গনপরিবহন সহ ভ্যান,বাইক,সি এন জি গুলো যাক্রীশূন্য ভাবে চলছে।
এই গরম শয্য করতে না পেরে বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ বৃদ্ধ মানুষ সহ পশু পাখি হিট ষ্টোকের স্বীকার হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু বরন করতে হচ্ছে।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গাই অনেকেই অকাল মৃত্যুর স্বীকার হয়েছেন। যা অনেক পত্র পত্রিকায় খবর এসেছে।
সাধারণ জনগণের সাথে আলাপকালে অনেকে বলেন বিশেষ করে,খেটে খাওয়া দিন মজুররা আক্ষেপের সাথে বলেন এখন ইরি বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে. এই অসহনীয় গরমে কেউ ধাধ কাটতে মাঠে যেতে চাইছে না,এই মৌসুমে ধান কেটে ও মাঠে শ্রম দিয়ে অনেকে রোজগার করে থাকেন,অনেক বিত্তবান কৃষক মহাজন আছে যারা শ্রমিক জনবল লাগিয়ে ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলেন, তারা বলেন এই গরমে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে ক্ষেতের ধান কাটতে হচ্ছে,তাও আবার সময় মত লোক পাওয়া যাচ্ছে না।
চলমান তাপদহের মধ্যে আরও দূঃসংবাদ দিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর, ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের এই তাপমাত্রার চেয়েও আরও তীব্র থেকে বেড়ে তীব্র ভয়ংকর রুপে তাপদহের কবলে পড়তে যাচ্ছে গোটা দেশ যা মে মাস থেকে পরিলক্ষিত হবে।
এরুপ সংবাদে আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ ও ভূক্তভোগী আপামর জনগণ। চলমান তাপদহ না যেতেই,আরও বড় পরিষরে এর চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারন করে তাপদাহ আসছে।
এহেন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে বাচতে যশোরের শার্শা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এস্তেগফার নামাজ ও ২৬শে এপ্রিল শুক্রবার মসজিদে জুমা নামাজে বিশেষ দোয়া ও বিভিন্ন উপসানলয়ে প্রার্থনা করা হয়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।