মোঃ আমজাদ হোসেন,নওগাঁ প্রতিনিধি || ছিল না কোন রাস্তা, ছিল না কোন মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা,একসময় যে রাস্তায় মানুষ একা যেতে ভয় পেত,সে রাস্তা এখন ভ্রমণপ্রেমীদের কোলাহলে মুখর হয়ে উঠেছে। উন্মুক্ত এই স্থানে অন্যরকম প্রশান্তি পাচ্ছেন ভ্রমন প্রেমীরা।এটি সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি ও দুবলহাটি ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। বছরের অধিকাংশ সময় বিলে পানি থাকে। বর্ষা মৌসুমে জলে টইটম্বুর। নির্মল হাওয়ার মাঝে পানির ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এসে পাকা রাস্তায় আছড়ে পড়ে। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাসাইগাড়ি বিলে ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমী অসংখ্য মানুষ।
নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে নওগাঁ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।নওগাঁ জেলা ভৌগোলিকভাবে বৃহত্তর বরেন্দ্র ভূমির অংশ। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমভাগে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমারেখা সংলগ্ন যে ভূখণ্ডটি ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চের আগ পর্যন্ত নওগাঁ মহকুমা হিসেবে গণ্য হতো, সেটিই বর্তমান বাংলাদেশের নওগাঁ জেলা।আর এই নওগাঁ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হাঁসাইগাড়ি বিল। এর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে পাকা রাস্তা। এই সড়কটি সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে এর একটি হলো দুবলহাটি অন্যটি হাঁসাইগাড়ি।
হাঁসাইগাড়িবিল এখন নওগাঁর অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র।প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় আগে প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল এমপির উদ্যোগে হাঁসাইগাড়ী অথৈজলের মাঝে নির্মাণ করা হয় সড়কটি। সড়কটি হাঁসাইগাড়ী, শিকারপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে নওগাঁ জেলা সদরের একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা হলেও হাঁসাইগাড়ী বিশাল জলরাশীর মধ্যদিয়ে নির্মিত দীর্ঘ প্রায় ২০কিমি এই সড়ক এখন নওগাঁ জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। বিশাল এ বিলের বুক চিরে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন সড়ক এবং বিশাল জলরাশির খেলা দেখতে প্রায় ৭ কিঃমিঃ অংশে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ভীড় জমাচ্ছেন।
এ বিলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়ায় পাওয়া যায় ফলে পরিবার নিয়ে খুব সহজেই ভ্রমণ করা যায়।পাশাপাশি এখানে খেয়া নৌকা ভাড়া নিয়েও চালাতে পারেন।
এই বিলের নামকরনের ইতিহাস কি ছিলো নওগাঁ জেলার সদর থানার ৮নং হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের বিশাল এই বিলটির নাম ছিলো “গুটার বিল”।পরবর্তীতে এই বিলের মাঝ দিয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল এর তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই গভীর বিলের মাঝখান দিয়ে তৈরি হয় পাকা রাস্তা।এই বিলের পাশে থাকা গ্রামের নামানুসারে বর্তমানে এই বিলের নাম হয় “হাসাইগাড়ি বিল”।
জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে হাসাইগাড়ি বিল।সাড়ে ৭ কিলোমিটারের সড়কটিতে রযেছে দৃষ্টিনন্দন ৫টি সেতু।
হাসাইগাড়ি বিলের বুক চিড়ে নির্মীত প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটারের সংযুক্ত সড়ক নির্মাণের ফলে তিন উপজেলার প্রায় কয়েক লক্ষ্যাধিক মানুষের চলাচলের সু-ব্যবস্থা হয়েছে।পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে রাস্তারটির দুই পাশের বিলে পানি পরিপুর্ন থাকায় ইতিমধ্যে পর্যটকদের মন কেড়েছে হাঁসাইগাড়ি বিল।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।