1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে খুলনায় গণজমায়েত-মিছিল পাইকগাছায় ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত খুলনায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে মহানগর নিসচা’র বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালিত যশোরে মনিহার সিনেমাহল হচ্ছে সিনেপ্লেক্স বটিয়াঘাটায় তুচ্ছ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কেশবপুরে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান উপলক্ষে কর্মশালা কম খরচে কৃষিপণ্য পরিবহনে চালু হলো বিশেষ ট্রেন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগর নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এর অপসরণের দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় নার্সারি মালিক সমিতির সাথে জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের মতবিনিময় সভা  বটিয়াঘাটায় বাংলাদেশ কৃষক দল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতৃবৃদের সাথে মতবিনিময় সভা আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ’ উপলক্ষে খুলনায় র‍্যালি ও মানববন্ধন বিভাগীয় শিল্পী কল্যাণ সংস্থা খুলনা এর আহবায়ক কমিটি গঠন লোহাগড়ায় সিধ কেটে ঘরে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে খুন বিশ্ব আয়োডিন দিবসের আলোচনা সভা মোংলা বন্দরের আন্তজার্তিক নৌ ক্যানেলে বাল্কহেড জাহাজ ডুবি, ৬ নাবিক জীবিত উদ্ধার পাইকগাছায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস এবং হাত ধোয়া দিবস পালিত

৩ কোটি টাকার সেতু ধসে পড়েছে ছয় মাসেই

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৩ বার শেয়ার হয়েছে

যশোর প্রতিনিধি || যশোরের মনিরামপুরে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার ৬ মাস পার না হতেই ধসে পড়েছে নবনির্মিত ৪২ মিটার লম্বা একটি সেতুর পাটাতনের পলেস্তারা। উপজেলার চিনাটোলা বাজারে হরিহর নদের উপর তিন কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২১১ টাকায় নির্মিত সেতুটি চলতি বছরের মার্চের দিকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।

এরপর আগস্টের প্রথম দিকে সেতুর পাটাতনের পলেস্তারা ধসে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে বড় একটি অংশ ধসে রড বেরিয়ে পড়ায় গেল দুই মাস ধরে সেতু পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা।

স্থানীয়রা বলছেন,বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট হওয়ায় উদ্বোধনের পরপরই সেতুর পাটাতনের পলেস্তারা ধসে পড়ছে। দায়-সারা ভাবে সেতুর কাজ করার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নানাভাবে তাদের ভয় দেখানো হয়।

সরেজমিন সেতুর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ও উপজেলা প্রকৌশলীর দফতর সূত্রে জানা গেছে, চিনাটোলা বাজার থেকে মনোহরপুর বাজার সড়কের হরিহর নদের উপর ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ৪২ মিটার দৈর্ঘের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালে ৬ অক্টোবর সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে নির্ধারিত মেয়াদের এক বছরের বেশি সময় পর দায়-সারাভাবে সেতুর কাজ শেষ করেন। এরপর চলতি বছরের প্রথম দিকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।

সেতুর পূর্বপাড়ের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, সেতু খুলে দেওয়ার ৪-৫ মাসের মাথায় মেঝের প্লাস্টার ফেটে নদীতে পড়ে কয়েকটি গর্ত দেখা দিয়েছে। পরে উপজেলায় খবর দিলে ইঞ্জিনিয়ার এবং অফিসের লোক এসে গর্তগুলো বন্ধ করে দিতে চায়,আমরা বাধা দিয়েছি। বলেছি, সেতু ভেঙে নতুন করে করতে হবে। তখন উপর থেকে আরো লোকজন আসে।আমাদের বাধার মুখে তারা সেতুর মেঝে ভাঙা শুরু করে। এখন কাজ বন্ধ করে রেখেছে ইঞ্জিনিয়ার এবং অফিস এর কর্মকর্তা । এতে করে চলাচলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন,সেতুর জন্য রড এনে বহুদিন ফেলে রাখা হয়েছিল। এতে রডে মরিচা পড়ে। পরে কিছু রড তুলে নিয়ে যায় ঠিকাদার। বাকি রড দিয়ে কোনো রকমে সেতুর কাজ করেছে। যে মাপের রড ব্যবহার করার কথা সেটা এখানে করা হয়নি।

স্থানীয় জিয়ারুল গাজী বলেন,সেতু তৈরির সময় ঠিকাদারের লোকজন দায়-সারা ভাবে কাজ চালাচ্ছিল। তারা অন্য এলাকা থেকে সিমেন্ট ও বালু মিশিয়ে ট্রাকে করে নিয়ে এসে ঢালাই দিয়েছে। যতটুকু মোটা করে দেওয়ার কথা ছিল সেই নিয়মে ঢালাই দেওয়া হয়নি। এখন সেতুর স্ল্যাব ভাঙার সময় হাতুড়ির আঘাতে ধুলো উড়ছে। এছাড়া সেতুর মাঝের অংশ নিচের দিকে চাপা। একটু বৃষ্টি হলেই সেতুর মাঝখানে পানি জমে থাকে।

জিয়ারুল গাজী আরো বলেন, স্থানীয় আলম চেয়ারম্যানের বাহিনী সেতুর কাজ চলার সময় উপস্থিত থাকত। কাজে অনিয়ম দেখে বাধা দিতে গেলে ভয় ভীতি দেখানো হতো।

সেতুপাড়ের চা দোকানদার আব্দুর রহমান বলেন, সেতুর পূর্বপাড়ে উদ্বোধনের একটি নামফলক স্থাপন করা আছে।সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সেতু উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি উদ্বোধন করতে আসেননি। বরং নামফলকে উদ্বোধনের যেই তারিখ দেওয়া আছে তারও ২০-২২ দিন পরে এসে নামফলক লাগানো হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লুৎফর গাজী বলেন, কাজের অনিয়ম দেখে বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান আলমগীর আমাদেরকে পাত্তা দেননি। ‘বিএনপি-জামায়াতের কথা চলবে না’ এই বলে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই জোড়া তালি দিয়ে না, নতুন করে সেতুর কাজ করতে হবে।

এই বিষয়ে শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ সত্য না। ক্ষোভ থেকে এখন তারা অনেক কথা বলছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, হরিহর নদের চিনাটোলা বাজার সংলগ্ন এই সেতুর উপর দিয়ে মনিরামপুরের পূর্বাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নসহ অভয়নগর, কেশবপুর, খুলনা, ডুমুরিয়া উপজেলার মানুষ যাতায়াত করেন। গ্রামীণ সড়ক হলেও দিনরাত এই রাস্তায় খুব চাপ থাকে। প্রতিদিন এই সড়কে অন্তত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে। ট্রাক ভরে নওয়াপাড়া থেকে সার, পাথর, রড সিমেন্ট সাতক্ষীরা, কেশবপুর ও মনিরামপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে নেয়া হয়। সেতুর মেঝে ভেঙে পড়ায় এখন চলাচল ও পণ্য পরিবহনে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সেতু নির্মাণের ঠিকাদার শামীম চাকলাদার বলেন, আমার লাইসেন্সে অন্য ঠিকাদার কাজ করেছেন। মেঝে (স্ল্যাব) ঢালাইয়ের সময় অন্য জায়গায় সিমেন্ট-বালু মিশিয়ে এনে কাজ করা হয়েছে। এতে উপাদানের স্থায়ীত্ব কমে যাওয়ায় এমনটি হতে পারে।

সেতুর কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম বলেন, শুনেছি ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন স্থানীয় লোকজন পিটিয়ে সেতুর মেঝে ভেঙে ফেলেছে। ঠিকাদার ও স্থানীয় আলমগীর চেয়ারম্যান একই দাবি করেছেন।
এই কথার সত্যতা যাচাই করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন আলমগীর চেয়ারম্যান এবং ঠিকাদার।

মনিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন (খুলনায় খবর) কে বলেন সেতুর স্ল্যাব ধসে পড়ার খবর পেয়ে আমরা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। প্রথম দিকে স্থানীয়রা বাধা দিয়ে নতুন ভাবে করার কথা বলে। এখন সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সেতু সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

খুলনার খবর।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

youtube

https://youtube.com/@khulnarkhobor?si=v3cvg3zJmM54JYRa

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।