ইমরুল ইসলাম ইমন,খুলনা || ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার ভুয়া সমন্বয়কসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ওসি মো.শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে মঙ্গলবার রাতে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন,সরদার মোন্তাজাবুর রহমান ওরফে জাবের, তাহমিদ রহমান, নাহিদ হাসান, এস এম শরীফ হোসেন ও ইমন হাওলাদার।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানান,অপহৃত শেখ অহিদুজ্জামান ও মোন্তাজাবুর রহমান ওরফে জাবের পূর্বপরিচিত। ডাক্তার দেখাতে গত (১৫ অক্টোবর ২৪) অহিদুজ্জামান বাগেরহাট থেকে খুলনায় আসেন। ডাক্তার দেখানোর পর জাবের চা খাওয়ার কথা বলে অহিদুজ্জামানকে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে নিয়ে আসেন। সেখানে পৌঁছানোর পর অন্য চার ব্যক্তি তাকে তেঁতুলতলা মোড়ে রোজগার্ডেন হোটেলের তৃতীয় তলায় নিয়ে আটক রেখে চাঁদা দাবি করেন এবং বেদম মারধর করেন। তার সঙ্গে থাকা দুজন ৯৯৯ এ ফোন করলে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ইমন ও নাহিদ নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালান। তাদের ছাড়াতে জহুরুল তানভীর নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সমন্বয়ক থানায় যান। কিন্তু অন্য সমন্বয়ক এবং ছাত্ররা অপহরণকারীদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদ জানালে রাতেই এ ঘটনায় মামলা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান,গ্রেপ্তার ইমন বিভিন্ন সময় এক সমন্বয়কের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতেন। আর নাহিদ একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তারা বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করতেন। তাদের ছাড়াতে সমন্বয়কের থানায় যাওয়ার ঘটনায় সবাই বিব্রত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই আল আমিন জানান, বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।