সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুরের চেক সংক্রান্ত মামলায় থানায় নেওয়ার পর আবদুল কুদ্দুস (৪৫) নামে এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চিকিৎসক বলছেন, স্ট্রোক করে তিনি মারা গেছেন।
এই দিকে খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান। এই সময় তিনি নিহতের স্বজনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আবদুল কুদ্দুস সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড মেঘনা রোড এলাকার বাসিন্দা। মেঘনা রোড এলাকায় তার ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওয়ারী থানায় কুদ্দুসের বিরুদ্ধে চেক সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে সদর থানা পুলিশ তাকে মেঘনা রোড এলাকার ফার্মেসি থেকে গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় যান। তাদের উপস্থিতিতে কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ১০টা ১০ মিনিটে কুদ্দুসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে কুদ্দুসের স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মারা যান।
নিগার সুলতানা জানান, কুদ্দুস এর আগেও একবার স্ট্রোক করেছিলেন। তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হার্টেও রিং বসানো আছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, কুদ্দুস স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, ওয়ারী থানায় একটি চেক সংক্রান্ত মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক আমরা হাসপাতাল ভর্তি করি।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।