মোঃ আমজাদ হোসেন,নওগাঁ || নওগাঁর মান্দায় ২৩ অক্টোবর ‘উপজেলা দিবস পালন করা হয়েছে ।উপজেলা দিবসের আয়োজনে জাতীয় পার্টির মান্দা উপজেলার উপজেলা কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি মান্দা উপজেলার আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ ডাক্তার সাঈদ আলী আব্দুল্লাহ আল মাফুজ, রফিকুল ইসলাম, রওশন আলী, আবুবক্কার, মিজানুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ গঠন করেন।
শত বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে গণমানুষের দোরগোড়ায় রাষ্ট্রীয় সেবা পৌঁছে দিতেই তিনি উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা প্রবর্তণ করে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেন। ৪৬০টি উপজেলা পরিষদ গঠন করে মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্রীয় সেবা তৃণমূল মানুষের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। শহরের সকল সেবা গ্রামীণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতাল, মুন্সেফকোর্ট, পশু চিকিৎসা, কৃষি উন্নয়নসহ সব সেবা নিশ্চিত করেছিলেন। প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা ও ক্রীড়া উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেন।
এ সময় ৪২টি মহাকুমাকে জেলায় পরিণত করেন তিনি। এতে বাংলাদেশের জেলার সংখ্যা হয় ৬৪। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলা সদর দপ্তর নির্মাণ করেন। ১৯৮৮ থেকে ৯০ সালে সারা দেশে ৫৬৮টি গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করে ২১ হাজার ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেন।
জাতি গঠনের লক্ষ্যে সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করেন পল্লীবন্ধু। শিক্ষাকে বাস্তবমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং অর্থনৈতিক চাহিদার পূর্ণ উপযোগী হিসেবে ঢেলে সাজান।
প্রতি ২ কিলোমিটার এলাকা বা ২ হাজার মানুষের বসবাস এলাকায় একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু করেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই, খাতা ও পেন্সিল বিতরণ শুরুই করেন তিনি। চারটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা একই দিনে নেয়া শুরু করেন। প্রতিটি উপজেলায় একটি বালক ও একটি বালিকা বিদ্যালয় এবং জেলা সদরে একটি কলেজকে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। ২১টি কলেজকে জাতীয়করণ করেন। ৯টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা ৭০ ভাগ বৃদ্ধি করেন। ৬টি বিশ্বদ্যিালয় হলো এবং ১৭টি কলেজ হোস্টেল নির্মাণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নামে কোনো হোস্টেল নির্মাণ না করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানের নামে দুটি হোস্টেল নির্মাণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়া, আরও অসংখ্য উন্নয়নের নজির স্থাপণ করেছেন পল্লীবন্ধু।
রাষ্ট্র পরিচালনায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন তা এক কথায় বলে শেষ করা সম্ভব নয়। উন্নয়নের কীর্তির মাঝেই বেঁচে থাকবেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।