সরদার বাদশা,নিজস্ব প্রতিনিধি খুলনা // খুলনা ডুমুরিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল (২২এপ্রিল) শুক্রবার রাতে চুকনগরের একটি আবাসিক হোটেল ও থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়া।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি নিজে থানার পরিদর্শক (তদন্ত), মাসুদুর রহমান, পরিদর্শক (অপরেশন) ইমদাদুল হক এবং মাগুরাঘোনা ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক এস এম হাবিবুল্লাহ’র নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডের নিউ সুন্দরবন আবাসিক হোটেলের ১২ নং কক্ষে অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন ডুমুরিয়া থানার শোভনা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের সাইফুল শেখের ছেলে আল আমীন (২৪), ধামালিয়া গ্রামের সোহেল বিশ্বাসের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৯) এবং আমডাঙ্গা (মিকশিমিল) গ্রামের রাসেল শেখের ছেলে রায়হান শেখ (২০)। এসময় তাদের কক্ষ তল্লাশী করে গ্রিল কাটার বড় কাতারি ২টি, লোহার বড় হাতুড়ি, রামদা, ছুরি, লোহার রডসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই দলের আরও ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা হল, রুদাঘরা গ্রামের মৃত আজিজ মোড়লের ছেলে সবুজ মোড়ল (৩০), খরসংগ গ্রামের আবুবকর সরদারের ছেলে ইয়াসিন সরদার ওরফে তরিকুল সরদার (১৯), হান্নান মোল্যার ছেলে আল আমীন (২৮) এবং মৃত অনিল ভট্টাচার্য্যরে ছেলে ভোলা ভট্টাচার্য্য (৪০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে স্বিকার করেছে যে, শুক্রবার রাতেই মিকিশিমিল গ্রামের অমিতাভ মূখার্জির বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল তারা। ওই বাড়িতে ইতোপূর্বে আরও দুইবার ডাকাতি করতে গিয়েও লোক জানাজানি হওয়ার কারনে ফিরে এসেছে বলেও জানিয়েছে তারা।
এব্যাপারে মাগুরাঘোনা ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক এস এম হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি শেখ কনি মিয়া।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।