স্বাস্থ্য টিপস || সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ না করে পানিপানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। চলুন, জেনে নিই ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ না করে পানি পান করলে কী ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কিভাবে তা শরীরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে।
পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে : রাতে যখন আমরা ঘুমাই, তখন শরীর থেকে নানা ধরনের টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ পাকস্থলীতে জমা হয়।সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পানে এই টক্সিনগুলো ধীরে ধীরে শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যবান রাখে।
পরিপাকতন্ত্র সক্রিয় হয় : সকালে পানি পান করার ফলে পাকস্থলীতে জমা হওয়া এসিড এবং অন্যান্য এনজাইম সক্রিয় হয়। এতে খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের ঝুঁকি কমে।
ইমিউন সিস্টেম মজবুত হয় : সকালে ব্রাশ না করে পানি পান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।মুখের লালায় থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং এনজাইম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা আমাদের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে : সকালে খালি পেটে পানি পানের ফলে ক্ষুধা কম অনুভূত হয় এবং শরীরের মেটাবলিজমের হার বাড়ে। এর ফলে অতিরিক্ত ক্ষুধা ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের লোভ কমে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।
ত্বকের জন্য উপকারী : সকালে ব্রাশ না করে পানি পান ত্বককেও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হলে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য সমস্যা কমে। ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকর।
শরীরকে ডিটক্সিফাই করে : রাতে শরীরে যে টক্সিন তৈরি হয়, সকালে পানি পান করার ফলে তা মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে কিডনি ভালো থাকে এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে পরিষ্কার থাকে।
মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় : সকালে ব্রাশ না করে পানি পান করলে মুখের লালা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের মতো কাজ করে।এতে মুখের ব্যাকটেরিয়া নিস্ক্রিয় হয় এবং মুখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় : পানির অভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই পানি পান মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সক্রিয় করে এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে সারা দিন কাজ করার এনার্জি পাওয়া যায়।
দীর্ঘ মেয়াদে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে : সকালে ব্রাশ না করে পানি পানের ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদযন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।