এস.এম.শামীম দিঘলিয়া,খুলনা// খুলনা-৪আসনের সংসদ সদস্য জননেতা আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে জনগণের ভালোবাসা থেকে দূরে রাখা যাবে না।
তেরখাদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সমগ্র খুলনায় যে আলোচনার ঝড় উঠেছে সে সম্পর্কে মূলত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার একটি অপচেষ্টা ও পায়তারা আমাদের কাছে পরী লক্ষিত হয়েছে। ঘটনা প্রবাহে একটি দুষ্টচক্র খুলনা-৪ নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য জননেতা আব্দুস সালাম মুর্শেদীর জনগণের মধ্যে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের অপচেষ্টা করেছে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বয়ানে এরকম কথা প্রচার করা হচ্ছে যে খুলনার তার নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয় সংসদ সদস্য একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা মালা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
একজন জাতীয় সংসদ সদস্যের খ্যাতিমান ব্যক্তি একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ? মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনী কার্যক্রমে খুলনার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য জননেতা আব্দুস সালাম মুর্শেদী ঘুনাক্ষরেও অবগত ছিলেন না। জননেতা আব্দুস সালাম মুর্শেদী কোন প্রকার লিখিত সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্বাক্ষরিত মনোনয়নপত্র জমা দেন নাই। একটি চক্র আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপির জনসম্মুখে গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে চক্রান্তের ফল হিসেবে আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপিকে তেরোখাদা শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রার্থী হিসাবে প্রচার করে। এই নির্বাচনে তার পরাজয়ের কথা সামাজিক যোগাযোগ ও প্রচার মাধ্যমে প্রচার করে যে ঘৃণ্য অপতৎপরতা চালাচ্ছেন তা বুঝবার মত মেধা জনগণের আছে।
এই সভাপতি নির্বাচনের পাতানো ঘটনায় নিশ্চয়ই একজন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই নির্বাচনী কার্যক্রমে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী এর স্বাক্ষরিত কোন মনোনয়নপত্র কি জমা পড়েছে? প্রকৃত প্রস্তাবে এই সভাপতি পদে নির্বাচনে আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপির মৌখিক কোন মতামত ওকি সেখানে নেওয়া হয়েছে? অথচ সামাজিক ও প্রচার মাধ্যমে একটি মহল ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করছেন আব্দুস সালাম মুর্শিদী এমপি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়েছেন। এই নিন্দনীয় ঘটনার অবসান হোক শুভ ও বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বিজয় হোক।
প্রকাশ থাকে যে, ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই মহামান্য হাই কোর্টের পূর্নাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে কোন মাননীয় সংসদ-সদস্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে
সংসদ-সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে যে মহলটি তেরখাদা শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়র সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার কথা প্রচার করছেন তারা ঘোলা পানি তে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন।
মিথ্যা প্রচার করে জননেতা আব্দুস সালাম মুর্শেদী কে জনগণের ভালোবাসা থেকে দূরে সরানো যাবে না।
একটা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হতেগেলে ইউএনওর জানতে হবে, তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করবেন, কিন্তু সেসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করে নির্বাচন দিয়েছে, এমপি বা তার অনুমোদিত কোনো প্রধিনিধির সাথে আলোচনা না করে তাকে কারা প্রার্থী করেছে সেটা ভাববার বিষয়, তারতো নির্বাচন করার প্রয়োজন ছিলোনা, যদি আইন থাকতো তাহলে তিনি বোর্ডের সাথে কথা বললে এমনিতেই সভাপতি হতে পারতো। যিনি অন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানায় সে কিনা গেছে নির্বাচন করতে, বিষয়টি হাস্যকর, তার জনপ্রিয়তায় হিংসা করে একটা কুচক্রী মহল মিথ্যা রটনা করে যাচ্ছেন। দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা,খুলন-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসকল অপপ্রচার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।