এস.এম.শামীম,দিঘলিয়া খুলনা || দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রহ্মগাতী সরকারি বিল রাস্তার পাশের সামাজিক বনায়নের গাছ কর্তৃপক্ষের অগোচরেই কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ব্রহ্মগাতী গ্রামের সরকারি বিলের রাস্তার পাশে বন বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করে সামাজিক বনায়ন করা হয়। রাস্তার পাশ দিয়ে কড়াই,মেহগুনি, কালি বাবলাসহ নানা জাতের বনজ গাছ লাগানো হয়। কিন্তু উক্ত সামাজিক বনায়ন কমিটির কতিপয় স্বার্থান্বেষী সদস্য এলাকার একটি মহলের সাথে আঁতাত করে কয়েক হাজার টাকার গাছ লুটপাট ও বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কিছু গাছ উপজেলা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে উপজেলায় নিয়ে এসেছে। কিছু গাছ কয়েক জায়গায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। যে কাঠের লকগুলো হাজীগ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী হাসানের নিকট বিক্রি চুক্তি করেছে ব্রহ্মগাতী গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র কামরুল ইসলাম নামক জনৈক ব্যক্তি। তিনিও সামাজিক বনায়ন কমিটির একজন সদস্য। কমিটির ১১ সদস্যগণ হলেন ব্রহ্মগাতী গ্রমের মৃত আঃ গফুর শেখের পুত্র শেখ মারুফুল ইসলাম,মৃত আকছের শেখের পুত্র ওসমান শেখ, মোক্তার শেখের পুত্র মোদাচ্ছের শেখ, মৃত নজরুল শেখের পুত্র কামরুল ইসলাম শেখ, বাহাদুর শেখের পুত্র আবু বক্কার শেখ, মুনসুর শেখের পুত্র গোলাম নবী শেখ, সেকেন্দার শেখের পুত্র নাসির শেখ,আমানত শেখের পুত্র শওকাত শেখ, ইব্রাহিম শেখের পুত্র মিনার শেখ,গহর শেখের পুত্র মিন্টু শেখ ও দিঘলিয়ার জনৈক মাহবুর শেখ।
ব্রহ্মগাতী গ্রামের মনিরুল মোড়ল নামক জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, আমাকে কয়েকজন এসে গাছ কাটার ব্যাপারে জানানোর পর আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। বন কর্মকর্তাকে জনিয়েছি,সাংবাদিকদের জানিয়েছি। সকলে লোক পাঠিয়ে সত্যতা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে সামাজিক বনায়ন কমিটির কতিপয় সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা দায় এড়িয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করেন।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন সামাজিক বনায়ন কমিটির কতিপয় সদস্যের উপস্থিতিতে এ প্রতিবেদককে জানান, কমিটির সদস্যরা কেউ দায় এড়াতে পারেননা। তারা গাছ কেটে বিক্রি করেছেন কিন্তু আমাকে জাননি। বনের গাছের সিংহভাগ অর্থের দাবীদার তারা। তারাই এ সম্পদের রক্ষক ভক্ষক নন। আমি কিছু গাছ উদ্ধার করে উপজেলায় নিয়ে রেখেছি। বাকী গাছগুলো উদ্ধার হয়েছে। উপজেলায় নিয়ে যাব। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
সমিতির সদস্য মন্টু শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, কমিটির সদস্য ৩০/৩৫ জন। হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য এভাবে গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এবারই শুধু নয়। দীর্ঘদিন যাবত এ মহল প্রভাবশালীমহলের সাথে আঁতাত করে গাছ কেটে বিক্রি করে আসছে। তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।