প্রনয় দাস, অভয়নগর প্রতিনিধি // তিন লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা গ্রহণ করে থাকেন।
সরকারিসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এ হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও আধুনিক ও মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দাবি করেছেন সেবাগ্রহিতারা। এসব দাবির ধারবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর।
জানা যায়, জাইকার সহযোগিতায় অভয়নগর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতোপূর্বে আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, সিলিং ফ্যান, নেবুলাইজার মেশিন, ডেন্টাল মেশিন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ইসিজি, ওটি লাইট, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, বিপি মেশিন ও স্পট লাইট প্রদান করা হয়েছে।
এসব সামগ্রী পাওয়ার পর সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনবল সংকটের কারণে সেবাবঞ্চিত হয়ে রোগী ফিরে যাচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর।
এসময় তিনি পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড, প্রসূতি ও নবজাতক বিভাগের রোগী ও রোগীর আত্মিয়দের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ও মেশিনগুলো সচল না অচল রয়েছে তা চালিয়ে দেখেন। সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন থেকে আসা রোগী সালমা খাতুন জানান, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ডাক্তার ও নার্সরা সার্বক্ষনিক খেয়াল রাখছেন। তবে ডাক্তার সংকট রয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী ও তাদের স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে একটি আধুনিক ও মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দাবি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে একজনও নেই। ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে অনেক রোগী সেবা বঞ্চিত হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিণত করার চেষ্টায় কাজ করছেন। জাইকা কর্তৃক উপজেলা পরিষদ থেকে দেওয়া মেশিনগুলো রোগীর সেবায় ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে কোন রোগী বা তাদের স্বজনরা সেবার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেনি।
হাসপাতালের প্রতিটি মালামাল জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ। এগুলো দেখভাল ও রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। হাসপাতালে চত্বরে দালাল চক্রের দৌরাত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতাল চত্বরে দালাল চক্রের কোন সদস্যকে পেলে আইনের আওতায় আনা হবে। কোন প্রকার অনিয়মের বিষয়ে তাঁকে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।