1. info@www.khulnarkhobor.com : khulnarkhobor :
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com    বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৪৭,আপার যশোর রোড (সঙ্গীতা হোটেল ভবন) নীচতলা,খুলনা-৯১০০।ফোন:০১৭১০-২৪০৭৮৫,০১৭২১-৪২৮১৩৫। মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
খুলনার খবর
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপ‌তি মনা, ‍তুহিন সাধারণ সম্পাদক কেশবপুর মধু শিক্ষা নিকেতন মাঃ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কয়রায় জরাজীর্ণ গুচ্ছগ্রাম নিরালা জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি ফিরোজ, সম্পাদক সবুর কালিগঞ্জে বিএনপির সংগঠনিক সভায় কি বললেন পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি দিঘলিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার মোড়লকে অপসারণ ও গ্রেপ্তার দাবি মানববন্ধন  শ্যামনগরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম খান ধর্ষণের বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানিয়ে খুলনা জেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটির শুভেচ্ছা মিছিল কেশবপুরে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৫ জন গ্রেফতার কালিগঞ্জে পলিথিনের বিকল্প নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগের পাঁচ শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কার -২০২৪ এর সম্মাননা প্রদান পায়ে শিকল পরিয়ে ইটভাটা শ্রমিককে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২ শ্যামনগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলন কালিগঞ্জ চৌমুহনী ডিগ্রী মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা খুলনায় তারুণ্যের ক্রীড়া উৎসবে – পুলিশ কমিশনার খুলনা মহানগর বিএনপির “সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০২৫ “এর সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন বসতবাড়ির ১৭ শতাংশ জমি দখলে, তিন সন্তান নিয়ে অসহায় দিনযাপন কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছনার পর হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল

কয়রায় জরাজীর্ণ গুচ্ছগ্রাম

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার শেয়ার হয়েছে

জাহিদুল ইসলাম, কয়রা ( খুলনা) প্রতিনিধি|| কয়রায় ছয় বছর আগে তিনটি গুচ্ছগ্রামে ৪৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। নদীতীরে নির্মাণ করায় জলোচ্ছ্বাসে ঘরগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

জোয়ারের সময় গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলোতে পানি ঢুকে পড়ে। তাই ঘর ছেড়ে চলে গেছে কিছু পরিবার। সম্প্রতি কয়রা উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামে
জোয়ারের সময় গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলোতে পানি ঢুকে পড়ে। তাই ঘর ছেড়ে চলে গেছে কিছু পরিবার। সম্প্রতি কয়রা উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামে
বসতভিটার ধসে পড়া মাটিতে কাদার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের চেষ্টা করছিলেন রহিমা বেগম। পাশে দুজন শিশু মাটিভর্তি ঝুড়ি এগিয়ে দিচ্ছিল তাঁকে। কাছাকাছি পৌঁছাতেই ঘরের সামনে অচেনা মানুষ দেখে এগিয়ে আসেন রহিমা বেগম। বললেন, ‘আমাদের গুচ্ছগ্রামের মানুষেরে দেখতি আইছেন ভাই? সাহেবরা আসে শুধু ঘুইরে যায় আর আশ্বাস দেয়, কাজের কাজ কিচ্ছু হয় না। আমাদের ঘরের চাইতে গ্রামের মানুষের গরুর ঘর অনেক ভালো।’
কাদামাখা হাতের আঙুলের ইশারায় রহিমা বেগম ভাঙাচোরা ঘর দেখিয়ে বললেন, ‘জায়গাজমি না থাকায় মানুষির আনাছিকানাছি বাস করতাম। সরকারি ঘর পেয়ে মনে করিলাম একটু ভালোভাবে থাকতি পারবানে। কিন্তু তা আর হইল না। যাবার কোনো জায়গা না থাকায় কষ্ট করি এখনো গুচ্ছগ্রামে পড়ে আছি। কষ্ট করতি না পারি অনেক লোক চলি গেছে। আমরা যারা আছি তাগের দিকি কেউ খেয়াল করে না।’
৯ ফেব্রুয়ারি সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামের কয়রা নদীর চরে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে গিয়ে কথা হয় বাসিন্দা রহিমা বেগমের সঙ্গে। রহিমা বেগমের মতো এমন দুরবস্থা খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদ ও কয়রা নদীর চরে নির্মিত তিনটি গুচ্ছগ্রামের আট শতাধিক বাসিন্দা।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বসতভিটা হারানো ৪৫০ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খুলনার কয়রা উপজেলায় গড়ে তোলা হয় তিনটি গুচ্ছগ্রাম। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প-২–এর আওতায় গোবরা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের চর ভরাট করে ২২০টি, মঠবাড়ি গ্রামের কয়রা নদীর চর ভরাট করে ১৭০টি এবং শেওড়াপাড়া গ্রামের কপোতাক্ষ নদের চর ভরাট করে নির্মাণ করা হয় ৬০টি ঘর। প্রকল্পের জায়গা ভরাট, ঘর নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, চুলা নির্মাণ, নলকূপ স্থাপন, পুকুরঘাট নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি খরচ হয়।
তিনটি গুচ্ছগ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, নদীর চরে নির্মাণ করা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের সমস্যা একই ধরনের। একটিতেও নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। সব কটির নলকূপ নষ্ট। বিদ্যুতের খুঁটি ও তার থাকলেও অধিকাংশ ঘরে নেই বিদ্যুতের সংযোগ। জোয়ারের পানিতে ডুবে অধিকাংশ ঘরের মেঝে ও বারান্দার মাটি সরে গেছে। মরিচা ধরে টিনের বেড়া ফাঁকা হয়ে আছে। নেই যোগাযোগের রাস্তা। পানি জমে আছে কিছু ঘরের সামনে। এত সংকট নিয়ে সেখানে থাকতে চান না উপকারভোগীরা। এরই মধ্যে অনেকে চলে যাওয়ায় ফাঁকা পড়ে আছে শতাধিক ঘর।
সম্প্রতি কয়রার শেওড়াপাড়া গ্রামের কপোতাক্ষ নদের চরে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের সামনে পৌঁছাতেই ছুটে আসেন বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ। নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁরা।
এই সময় শেওড়াপাড়া গ্রামের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জাহানারা বেগম বলেন, ‘এই ভাঙা ঘরে দুই ছেলেমেয়ে আর প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে কষ্টে বাস করতিছি। নিজির গতর খাটায়ে আয় করে খাবার জোগাড় করতি হয়। অসুখ–বিসুখ লেগেই আছে। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতি পারিনে। আমাদের তিন কুলি কেই নেই। যাবারও জাগা নাই।’
গুচ্ছগ্রামগুলোর ঘর সংস্কার করার বিষয়ে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি নিজেও দেখেছি, গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষ থাকার মতো পরিবেশ নেই। তবে ঘরগুলো সংস্কারের জন্য এ মুহূর্তে কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই। আমার হাতে বরাদ্দ থাকলে অন্তত মেঝেটা পাকা করে দিতাম। আমি ঘরগুলো মেরামত বা পুনর্নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। একটি প্রাক্কলন তৈরি করে সেখানে পাঠাব।

শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:-  ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।