মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন, যশোর প্রতিনিধি || যশোরে গণধর্ষণের শিকার নারীর বাড়ি পরিযার্শন ও তার খোঁজ খবর নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামে নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান তারা। এসময় নেতৃবৃন্দ ওই নারীকে ন্যায়বিচার পেতে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন।
একইসাথে জড়িতদের পক্ষে বিএনপির কোন আইনজীবী আদালতে যাবেন না বলে ঘোষণা দেয়া হয়।যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং এর সাথে জড়িত অভিযোগে চার যুবকে আটক করেন। আটকদের মধ্যে গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন বাপ্পি ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত রয়েছেন।বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নির নেতৃত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান। নার্গিস বেগম ও সাবিরা নাজমুল মুন্নি দীর্ঘক্ষণ ওই নারীর সাথে কথা বলেন এবং তাকে সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।পরে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন,নির্যাতণের শিকার নারীর সব ধরণের আইনী সহায়তা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। তিনি বলেন,এ ধরণের নেক্কারজনক কাজের সাথে যারাই জড়িত, তাদের কোন দলীয় পরিচয় দেখা হবে না।
আটক চারজনের পক্ষে বিএনপিপন্থী কোন আইনজীবী থাকবে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ওই নারীকে নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে কঠোর অবস্থানের কথা তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।