সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি // লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে নির্মম নির্যাতনে আনোয়ার হোসেন (২৫) নামের এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যুতে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ৩ তিন ঘন্টার মাথায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ মে মধ্য রাতে।
স্থানীয় সূত্র এবং রামগতি থানা পুলিশ থেকে জানা যায়, মৃত আনোয়ার হোসেন রামগতি উপজেলার চর হাসান হোসেন গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। গত ৫ মাস আগে মাঝি খবির উদ্দিনের (লেবার সাপ্লায়ার্স) মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা উপজেলার কে বি এস ব্রিকফিল্ডে কাজে যোগদান করেন । সেখানে প্রায় ৪ মাস কাজ করার পর আনোয়ার পালিয়ে বাড়িতে চলে আসলে খবির মাঝি ও তার ছেলে রিয়াদ তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং জোর করে কাজ করায়।
এরপর গত রমজান মাসে সে পুনরায় পালিয়ে আসলে খবিরের ছেলে রিয়াদ ও মেস্ত্রী নোমান আবার ও তাকে ধরে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে এবং ঈদের দিন ও আনোয়ার সেখানেই শিকলে বাঁধা ছিল বলে এসপি সার্কেল সাইফুল ইসলাম জানান । তিনি আরো জানান ঈদের পরে আনোয়ার উক্ত ব্রিকফিল্ড থেকে পালিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তার আত্নীয় স্বজন তাকে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে সে ১১ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চিকিৎসারত ছিল। চিকিৎসার এক পর্যায়ে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার করেন।কিন্তু ঢাকা না গিয়ে সে বাড়িতে চলে আসে এবং গত ১৮ মে রাত আনুমানিক ১টার দিকে সে মারা যায়।
এসপি সার্কেল আরো বলেন, আনোয়ার কে বার বার ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে এবং নির্যাতনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার আত্নীয় স্বজন ও এলাকাবাসী জানিয়েছে। পুলিশ খবির মাঝি ও তার বড় ভাই মেঘনা ব্রিকফিল্ডের মালিক খলিল কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এই দিকে মৃত আনোয়ারের মা আনোয়ারা বেগম বোন কুলসুমা বেগম এবং মামা ফারক হোসেন জানান,আনোয়ার কে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।তারা খলিলকে প্রধান আসামি করে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত খলিলকে আটকের ৩ ঘন্টার মাথায় ছেড়ে দেয়। এতে তারা ভীত ও হতভম্ব হয়ে যান। তারা হত্যার ন্যায় বিচারের আকুতি জানান।
আটকের ৩ ঘন্টার মাথায় প্রধান অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে এসপি সার্কেল সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তিনি এব্যাপারে কিছু জানেন না। অপরদিকে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,এসপি সার্কেল সাইফুল ইসলাম এর তত্বাবধানে সব কিছু হয়েছে।তিনি আরও বলেন,উর্ধ্বতন কর্মকতার অনুমতি ছাড়া কিছুই হয়নি।খলিল কে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি সাহেদ আলী মনুর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।প্রধান অভিযুক্তকে আটকের ৩ ঘন্টার মাথায় ছেড়ে দেওয়া পুলিশের বিপক্ষে এলাকার মানুষের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।তারা এর সুষ্ঠ ও ন্যায় বিচার চায়।
Copyright © 2022 KhulnarKhobor.com মেইল:khulnarkhobor24@gmail.com।জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা আইনে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদিত।স্মারক নম্বর:- ০৫.৪৪.৪৭০০.০২২.১৮.২৪২.২২-১২১।এই নিউজ পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।